মনের অশান্ত অবস্থাকে জয় করুন

  • কামরুন নাহার স্মৃতি
  • জুন ১৮, ২০১৯

আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া খারাপ ঘটনা প্রায়শই আমাদের অশান্ত রাখে, আমরা কাজকর্মে মনযোগী হতে পারিনা। আমাদের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের সাথে কেউ খারাপ আচরণ করল, খারাপ কথা বলল, পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট হয়ে গেল কিংবা প্রেম ভেঙ্গে গেল তখন আমরা না চাইতেও সেই বিষয়টা নিয়েই ভাবতে থাকি। ভাবনাগুলো আমাদের জন্য আনন্দ বয়ে আনে না বরং বয়ে আনে যন্ত্রণার পাহাড়। এই সমস্যার অস্থায়ী সমাধান হতে পারে মুভি দেখা, ভ্রমনে যাওয়া কিংবা বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডায় মেতে ওঠা। কিন্তু যখনি আপনি এসব থেকে বেরিয়ে আসবেন তখনি আবার কষ্ট আপনাকে ঘিরে নেবে, আপনার মন হয়ে উঠবে অশান্ত, চঞ্চল। তাই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে মনকে কল্পনার জগত থেকে বেরিয়ে আনুন এখনই।

 

 আমাদের মন কল্পনা করতে ভালোবাসে, কল্পনা আর বাস্তবের পার্থক্য করতে পারে না। তাই সবসময় কল্পনাকেই সত্যি ভাবে এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। আপনি যখন কাউকে ভালোবাসেন, তখন আপনি আপনার অবচেতন মনকে নিজের অজান্তেই এটা বোঝান যে, তাকে ছাড়া আপনি বাঁচতে পারবেন না। আর আপনার অবচেতন মনও তাই সেই অনুযায়ী কাজ করে। তাই যখন আপনাদের ব্রেকাপ হয় তখন অবচেতন মন বারবার সেই কথা মনে করিয়ে দেয় আর আপনিও কষ্ট পেতে থাকেন। তাই মনকে বাস্তবতা বোঝাতে হবে, কেউ জীবন থেকে চলে গেলেই মানুষ মরে যায় না! সেই মেয়েটা আপনাকে ছেড়ে গেছে বলে এই যে দেবদাস হয়ে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন, এতে সেই মানুষটা আপনার মূল্য বুঝবে তো? না কি তাকে এটা ভাবার সুযোগ করে দিচ্ছেন যে সে ভুল ছিল না, আপনাকে আসলেই ভালোবাসা যায় না, মূল্যহীন মানুষকে কেউ পাশে চায় না, নিজের জন্য নিজেকে মূল্যবান করে তুলুন। এমন একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করুন যাতে সেই মানুষটা অনুশোচনা করে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে বলে, আপনার মূল্য বুঝতে পারে নি বলে, অন্য কারো জন্য নিজেকে ছোট করবেন না। নিজেকে নিজে সম্মান দিতে না পারলে, অন্য কারো কাছে সম্মান পাওয়ার আশা করাটা নিছক পাগলামী। আগে নিজেকে সম্মান করতে শিখুন, নিজের জন্য বাঁচুন।

কেএস/

Leave a Comment