প্রবীণদের প্রতি আর দায়বদ্ধ নয় বর্তমান প্রজন্ম, সমস্যা তাই প্রকট!

  • তাসফিয়া আমিন
  • জুলাই ৪, ২০১৯

যে সন্তানদের জন্য মা-বাবা নিজেদের সব কিছুই উজাড় করে দিলেন, তারাই দেখা যায় শেষ পর্যন্ত উৎখাত হয়। সন্তানের বিয়ের আগে যা কিছু আবদার, আহ্লাদ, আদর। বিয়ের পরই আলাদা। মা-বাবা সবই পর। সেটা উচ্চশিক্ষিত মোটা টাকা বেতনের সন্তান থেকে শুরু করে সবার ক্ষেত্রেই বেশ লক্ষ করা যায়। গ্রামের সন্তানেরা জীবিকা-চাকরীর নামে শহরে বাসা বাঁধছে। বৃদ্ধ মা বাবা সকলেই গ্রামের বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন। হয়তো ফোনে যোগাযোগ হয়, বা বছরে এক দুইবার দেখা হয়। ব্যস, সব দায়িত্ব দায়বদ্ধতা শেষ। ছেলের বউরাও চায়না বুড়ো শশুড়-শাশুড়ীদের ঝামেলা পোহাতে।

বাবা মা সন্তানদের উপর নির্ভরশীল, তাই আলাদা হলেই তো সব সম্পর্ক শেষ। তাই বেশিরভাগ সন্তানরাই বাবা-মাকে আলাদা করে দেয়। আইন অনুসারে হয়তো সন্তানের কাছ থেকে বৃদ্ধ বাবা-মা ভরণপোষণ পাবার যোগ্য। কিন্তু কয়জন পালন করেন এই দায়িত্ব! অনেক বাবা মা তো অশ্রদ্ধার ভাত খেতে চান না , তাই আলাদা থাকেন বা বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেন। কিন্তু ভবিতব্য কি বলে? সংকীর্ণমনা, আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যে যার দায়িত্ব এড়ালেও আজকের গুনধর সন্তানের অপকীর্তি তো তার নিজের ছেলে-মেয়েরাও লক্ষ করছে। এইসব আঘাত সেইসব মা-বাবাদের জন্য তোলা থাকবে। দিন দিন আমাদের সমাজ ভাংছে, সব আদর্শও চুরমার হচ্ছে।

টি/শা 

Leave a Comment