আধুনিক নারীবাদিতা মানেই  কী পুরুষবিরোধীতা?

  • মারুফ ইমন 
  • জুলাই ৬, ২০১৯

এই ব্যপারটা ইদানিং একটা খুব সাধারন ও চোখে পড়ার মত ব্যপার হয়ে গিয়েছে যে, একজন অধিকার সচেতন নারী প্রায়শই মনে তীব্র পুরুষবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক বন্ধুবান্ধব বা পরিচিত নারীদের দেখেছি কথায় কথায় পুরুষ এই করেছে, পুরুষ ওই করেছে, পুরুষ এটা করলে এটা হত না ইত্যাদি কথায় তার নিজের ওজন ভারী করতে চান। কিন্তু 'আধুনিক নারীবাদ’ আসলে এর থেকে এখন ঢের দূরে এগিয়ে গেছে, বরং এখন নারীবাদ প্রতিষ্ঠায় এখন পুরুষের সহযোগিতায় তারা সুফল পাচ্ছেন। 

বেশি কিছু না, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি 'যৌন হেনস্থা’র কথাই ধরি  তাহলে দেখি বাসে, ট্রেনে বা বিভিন্ন গণপরিবহনে শতকরা প্রায় ৬৪ ভাগ নারী পুরুষ কর্তৃক হেনস্থার স্বীকার হন। এখন কোন নারী ইচ্ছে করলেই সেটার কোন ভিডিও বা ছবি ধারন করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারেন। আমি এতে কোন দোষ দেখিনা, এটি একজন নারী খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদের আরেকটা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এর অসামঞ্জস্যতা পাওয়া গেছে বা নারীদের মধ্য থেকেই অনেকে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তথ্যগত মতপার্থক্যে জড়িয়ে, এটি কিন্তু ভাবনার বিষয়। 

প্রতিবাদ করা আর মতবাদ লালন করা এক জিনিস না। প্রতিবাদ হতে পারে সেই মতবাদ পোষনের একটি রাস্তা। মতবাদ প্রতিষ্ঠায় আরো অনেক রাস্তা আছে, সেখানে একটি কে ধরে আঁকড়ে থাকলে আন্দোলন এগোয় না বরং ধীরে ধীরে তার কার্যকারিতা হারায়। ক'দিন আগে দেখলাম, একজন বোন বাসে সিটে বসে আছেন, সেখানে তার সাথে হওয়া যৌন হেনস্থার একটি ভিডিও তিনি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। সেখানে তার সিটের কাছেই এক বয়স্ক পুরুষকে দেখা গেছে অনেকটা তার দিকে ঘেষে দাঁড়িয়ে আছেন। ভিডিওতে সেই বোনের কথা হল, সেই বয়স্ক লোকটি তাকে বারবার ঠেলা দিচ্ছেন এবং এতে লোকটি ইচ্ছাকৃতভাবে তার পুরুষাঙ্গ দিয়ে ঠেলে বিকৃত যৌনাচারের চেষ্টা করছেন। 

স্বাভাবিকভাবেই মেয়েটিকে অনেক অসহায় মনে হয়েছে এবং লোকটিকে যথেষ্ট মনে হয়েছে আর ভিডিওটি খুব অল্প সময়ে 'ভাইরাল’ হয়ে গিয়েছে। আমি খুব মনোযোগ দিয়েই ভিডিওটি কয়েকবার দেখলাম এবং মেয়েটির কথা মেলানোর চেষ্টা করলাম। এখানে কয়েকটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ – বাসে অনেক ভীড় ছিল এবং নিয়মিত এসব বাসে যাতায়াত করেন তারা জানেন কতটা ভীড় হয়। সেখানে এ ধরনের বিকৃতমনা লোকের অভ্যাস পালন খুবই সম্ভব। কিন্তু লোকটি আসলেই কি সেটি করেছিল বা করার চেষ্টা করছিল? লোকটি যথেষ্ট বয়স্ক এবং ভীড় এতই ছিল যে তার ব্যালেন্স ঠিক রেখে ভাড়া দিতে গিয়ে টাকা গুনতেও তার হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এক্ষেত্রে মেয়েটির কথা কতটা যুক্তিযুক্ত? আর লোকটি কি ইচ্ছাকৃত ধাক্কা দিচ্ছিল? কেউ যদি অনিচ্ছাকৃত এমন কাজ করে তাহলে তার পুরুষাঙ্গ ঠেকিয়ে মজা নেবার কথা মাথায় থাকবে না। বরং মেয়েটির মাথায়ই থাকবে, কারন মেয়েটি এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী।

কমেন্ট সেকশনে মেয়েটির প্রতি অনেকে সমবেদনা জানিয়েছেন, লোকটির গুষ্টিপিন্ডিও উদ্ধার করেছেন অনেকে। অনেক মেয়েকে দেখলাম নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ভিন্ন জায়গায় এমন হেনস্থার কথাও লিখেছেন। কারন ক'দিন আগে এমন একজনকে পাওয়া গেছে যে নিজের সিট ছেড়ে এসে আরেক মেয়ের সাথে বসে তাকে হেনস্থা করছিল। পরে মেয়েটির প্রতিবাদের জেরে সে বাস থেকে নেমে পড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু কিছু কমেন্টে কিছু মেয়ে আবার লিখছেন, " একজন বাবার বয়েসী লোক মানুষের ভীড়ে দাঁড়াতে পারছে না আর সে এখানে আরেক মেয়ের বয়েসী মেয়ের শরীরে লিঙ্গ ঘষে আনন্দ নেবে এটা মানা যায় না, যা ইচ্ছা ধারনা করে লিখে ফেলা ঠিক না।"

আবার আরেকজন মেয়ে লিখছেন, ‘কিছু মেয়ে অন্যের প্রতি বানানো ব্লেম দিয়ে নিজে ভাইরাল হতে চায়, একবারও ভাবে না এতে সে নিজেই বেশি অপমানিত হচ্ছে । হেনস্থা হলে সে প্রতিবাদ করতে পারে, আরেকজনকে জানাতে পারে কিন্তু তাই বলে অন্যের অনুমতি বা জিজ্ঞেস না করে এমন অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তোলার কারনে লোকটিও তো তার প্রতি ব্লেম আনতে পারে, তাইনা?’

আমরা যদি ধরে নেই, মেয়েটি ঠিক তবে এমন ঘটনা দেশে ঘটে যাওয়া হাজারো ঘটনার একটি যা মেয়েরা অনেক সময় সবার সামনে তুলে আনতেও অস্বস্তিতে ভুগে থাকে।  'মি টু’ আন্দোলন তারই একটি পরিপ্রেক্ষিত। আর যদি এমন হয়, মেয়েটি আসলে ভুল বুঝেছে, লোকটির এমন কোন ভাবনাই ছিল না তবে একটা খুব বিপদজনক ভাবনা নিয়ে সে লালন করে চলেছে সেটি বলা যায়। তা হল – চরম মাত্রায় পুরুষবিরোধীতা। 

এবার আসি আধুনিক নারীবাদ এ নিয়ে কি বলে। পুরুষের সাথে সমানাধিকার কখনোই নারীবাদের একমাত্র সমার্থক মনে করা হয় না। পুরুষবিদ্বেষী মনোভাব তো আরো বড় বাধা। যেসব দেশের নারীবাদকে বর্তমান দিনে 'রোল মডেল’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে সেখানকার নেতৃস্থানীয়রা বারবার একটি কথাই বলার চেষ্টা করছেন, ‘পুরুষের প্রতি বিরোধী মনোভাব আমাদের পিছিয়েই রাখছে, কারন আধুনিক নারীবাদ আরো বিস্তৃত পরিসরে নারীদের অবস্থান সমুন্নত করার কথা বলে।’

গুগলের দেয়া নারীত্বের সংজ্ঞা হল, "যৌনতার সমতার ভিত্তিতে নারী অধিকারের পক্ষে সমর্থন।" এটিই সত্যিকারের নারীবাদ আন্দোলন যা বর্তমান বিশ্বনেতারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। 

ক্যালিফোর্নিয়ার লুথেরান ইউনিভার্সিটির সিনিয়র কমিউনিকেশন ডেনিস ক্লুস, যিনি বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ক্যাল লুথেরানের সাবেক ক্যাম্পাসের প্রাক্তন সভাপতি, তিনি বলেন, "যে সংজ্ঞাটি আমি বিশ্বাস করি তার সাথে সত্যিই আমাদের চাওয়াটা মিলে যায়; বেশিরভাগ মানুষ এটি মহিলাদের সাথে যুক্ত করে দেয় মেয়েরা পুরুষের চেয়ে বেশি শক্তি ধারণ করে, যা সঠিক নয়। আমার কাছে নারীবাদী হওয়া মানে অন্য মহিলাদের সমর্থন করা এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করা।আমার নিজের ব্যক্তিগত গবেষণার পর, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যেসব নারী বলে তাদের পুরুষের চেয়ে উপরে থাকা উচিত তারা তাদের আন্দোলনের ইতিহাসের দিকে নজর দিক, তাদের পদ্ধতিগুলি পুনঃমূল্যায়ন করুক এবং নিজেদের একজন নারীবাদী হওয়ার অর্থ কী তা জিজ্ঞেস করুক। আমি মনে করি, প্রত্যেকেরই সমান সুযোগ থাকা উচিত এবং পুরুষকেও জানানো উচিত যে তাদের মতামত অনুভব করার ও তাদের প্রতি মনোভাব দেখানোর অধিকার প্রত্যেক মেয়েদের আছে। মিডিয়া প্রায়ই নারীবাদীদেরকে পুরুষ ঘৃণাকারী নারী হিসাবে দেখায় যারা বিশ্বাস করে যে, সমস্ত পুরুষ মন্দ।"

আমরা অনেককেই বলতে শুনি, সে কখনো বিয়ে করবে না, ঘর সংসার করবে না কারন এতে পুরুষের আধিপত্যে পড়ে থাকতে হয়, মাথাচাড়া দেয়া যায় না। এটি কতটুকু সত্যি? সেই উনিশ শতকে যদি বেগম রোকেয়া তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের সাহচর্যে এতদূর যেতে পারেন, তবে আজ নয় কেন? বরং বাংলাদেশের মত জায়গায় পুরুষের সাথে মিলে কিছু সমস্যা খুব ইতিবাচকভাবে মিটিয়ে ফেলা যায়। বাসের ঘটনাটিই যদি ধরি, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কোন পুরুষকে মেয়েটি জানালে হয়তো চিত্রটা ভিন্নও হতে পারতো। একই ছাদের নিচে থেকে অনেক যুগল তাদের সংসার ও তাদের আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে। সেখানে পারস্পরিক বিদ্বেষ বা নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে বসে থাকলে ক্ষতি বৈ লাভ হত না। কিন্তু আশপাশে এমন কয়েকজনকেই পাবেন যারা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত জেদ বজায় রাখতে বা নিজের সাথে হওয়া কোন বাজে ঘটনার শোধ হিসেবে আজীবন পুরুষ ঘৃণা করার মন্ত্র পুষে রাখে।

ক্লুস আরেকটি খুবই মারাত্নক বিষয় বলেছেন এখানে,"আমি মনে করি যদি আপনাকে বলা হয় যে কেউ আপনাকে ঘৃণা করে বা পুরো গোষ্ঠী আপনাকে ঘৃণা করে তবে আপনি তাদের পছন্দ করবেন না বা তাদের সমর্থন করবেন না। ভুল বুঝে সেও মনে করে যে, হয়তো দু একজনের মত সব নারীই একই মত পোষণ করে (যে পুরুষরাই খারাপ)। নারীবাদী হওয়া মানে নারীদের ক্ষমতায়ন সম্পর্কে তাদের জানানো যে তারা আসলেই যা হতে চায় তারা এমন কিছু হতেই পারে। আমরা এতে অনুমতি দেওয়া এবং একসাথে কাজ করার জন্য উত্সাহিত করতে পারি আর এটাই আমাদের সবাইকে সুখী করতে পারে। "

প্যাট রবার্টসন বলছেন, "নারীবাদী কিছু এজেন্ডা মহিলাদের জন্য সমান অধিকার সম্পর্কে নয় বরং এটি একটি সমাজতান্ত্রিক, পরিবারবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন যা নারীদের স্বামীকে ছেড়ে তাদের সন্তানদের হত্যা, জাদুবিদ্যা অনুশীলন, পুঁজিবাদ ধ্বংস এবং লেসবিয়ানে পরিণত করার জন্য উৎসাহিত করে। "  তাহলে একটি প্রশ্ন অনেকের মাথায় আসতে পারে, কেন অনেক নারীর মাথায় এটি বদ্ধমূল হয়েছে যে নারীবাদ মানেই পুরুষকে ঘৃণা করা। মূলত পাঁচটি কারনকে মোটা দাগে কারন হিসেবে দেখানো যায়ঃ 

১। কিছু স্বতন্ত্র নারীবাদী নিজেই ব্যক্তিগত জীবনে প্রচন্ড পুরুষবিদ্বেষী যারা এই দ্বেষ তার অনুসারী বা উঠতি সচেতন মেয়েদের মাঝে ছড়িয়ে দেন। তসলিমা নাসরিনের কথাই যদি ধরেন, আমি তাকে নারী অধিকারে সবসময় একজন সোচ্চার ও সাহসী ব্যক্তিত্ব বলে মনে করি। একইসাথে এটিও ঠিক উনি তার বিভিন্ন বই, লেখা ও ব্যক্তিগত প্রেম বা সাংসারিক জীবনে মারাত্নক পুরুষবিদ্ধেষী মনোভাব তুলে ধরেছেন। আমরা নিশ্চিত নই, তার পরিবার ও রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সাথে তার সাংসারিক বিচ্ছেদ এর কারণ কী না তবে এটি ঠিক তার লেখা যারা পছন্দ করেন, তাকে আইডল মানেন তারাও পুরুষবিদ্বেষ নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। ফলশ্রুতিতে জীবনের অনেক ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে পড়েছেন বা একই জায়গায় রয়ে গেছেন, তারাও পুরুষের দ্বেষের স্বীকার হয়েছেন ফিডব্যাক হিসেবে।

২। আরেকটা কারন, পুরুষের একটা বড় অংশ মনে করেন , নারীবাদের জন্মই হয়েছে পুরুষবিদ্বেষের মন্ত্রে। আর তাই তারা তাদের বোন, স্ত্রী, মা বা অন্যান্য অধীনদের কাউকে নারীবাদী হতে দেখলেই ভেবে নেন, ‘এই বুঝি মেয়ে গোল্লায় গেল, এখন ছেলেদের সাথে শুধু লেগেই থাকবে।’

৩। অনেক পুরুষ হয়তো খারাপ নয় কিন্তু তথাকথিত নারীবাদ তাদের দেখাচ্ছে এভাবে যে, পুরুষ মানেই খারাপ। একটা মেয়ে যখন তার চোখের সামনে এমন বিপরীতধর্মী বিষয় লক্ষ্য করে তখন তার মধ্যেও চারা রোপিত হয় দ্বেষের। একটি মেয়ে যে তার বাবাকে ভালবাসে, যার স্বামী হয়তো তাকে অনেক সহযোগিতা করে কিংবা কারো ভাই হয়তো পরিবারে তার পক্ষে থাকে, সে যখন বাইরের আলোয় এসে নারীবাদীদের কয়েকজনের কাছে জানতে পারে পুরুষ মানেই ধর্ষক, লম্পট, নির্যাতক বা শোষক তখন সে দোটানায় পড়ে।

৪। কিছু নারীবাদী আবার চোখ থেকেও অন্ধের আচরণ করেন। বাসের উদাহরণটাই যদি আবার টানি, অনেক মেয়ে হয়তো ঘটনাটা ভিন্ন কিছু হলে, বয়স্ক লোকটির ভুল ছিল না প্রমাণিত হলেও গো ধরে বসে থাকবেন, ‘পুরুষরা এমনই।’ সাংসারিক জীবনেও অনেক সুখী স্ত্রী বা প্রেমিকাও তার স্বামী বা প্রেমিককে মজার ছলে বলেন, ‘সব ছেলেই এক’, আপাতদৃষ্টিতে এটি অমূলক মনে হলেও বুঝতে হবে কথাটি অনেক মেয়েই কথাটি বলে।

৫। শেষ একটা বড় কারন বলা যায়, কিছু আবেগী ব্যাপার আবার মূল লক্ষ্য থেকে মেয়েদের সরিয়ে ফেলে, তখন পুরুষই হয়ে উঠে তাদের চোখে একমাত্র বাধা, একমাত্র শত্রু। বাসের ঘটনায় মেয়েটি ইচ্ছাকৃত হেনস্থার স্বীকার হলে লোকটি যেই হোক সে ঘৃণিত এবং সাজা পাবার যোগ্য, এটি নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। কিছু সহমর্মিতার সুযোগ নিয়ে যদি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয় তবে আবার পুরো ঘটনাটি তার গুরুত্ব হারাবে আর আসল কাজ বাদ দিয়ে পৃথিবীর সকল পুরুষকে উদ্ধার করার কাজে নেমে যাবে মেয়েরা, যা সত্যি কাম্য নয়।

আধুনিক নারীবাদ বলে, মিডিয়ার একাংশের কারসাজিতে পুরুষকে মুখোমুখি দেখানো হয় ঘৃনার বাক্সের মত, কিন্তু এটি ঠিক নয় বা সচেতন কর্মীদের তা মানাও উচিৎ নয়। কারন, নারী পুরুষ উভয়ের হাত ধরেই সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।


 

Leave a Comment