একক পরিবারের সুবিধা অসুবিধা 

  • রোজী আরেফিন
  • জুলাই ২৬, ২০১৯

ইদানীং আশপাশের দশ বিশটা গ্রাম বা এলাকা খুঁজলেও দাদা-দাদী, কাকা-কাকী, চাচা-চাচী কে নিয়ে একসাথে বাস করা  একান্নবর্তী পরিবার আর তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা সবাই বড় বড় পরিবার ভেঙে শুধু নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে নিজেদের আবদ্ধ করে দিচ্ছি। আসলে এই আধুনিক যুগে এসে আমাদের চিন্তা চেতনার অন্যতম অংশ হলো যৌথ পরিবার থেকে বেরিয়ে কিভাবে একক পরিবারে নিজের অনুপ্রবেশ ঘটানো যায়।

যাই হোক, এই একক ফ্যামিলির যেমন কিছু সুবিধা আছে তেমনি আবার কিছু অসুবিধাও কিন্তু আছে। চলুন পাঠক আজকে আমরা জানি এসব সুবিধা অসুবিধা সমূহ।

সুবিধা সমূহ :

১.পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে সন্তানদের উন্নত জীবন।

২.পরিবারের সবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং বাস্তবায়ন করার স্বাধীনতা।

৩.নিজেদের পার্সোনালিটি এবং প্রাইভেসি জোরদার হওয়া।

৪.পরিবারের  ছোট সদস্যদের শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নতির ছোঁয়া লাগে।

৫.অর্থনৈতিক ভাবে মানে টাকা-পয়সার দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশী  উন্নত হওয়া।

৬.লাইফস্টাইল চেঞ্জ হওয়া যেমন কোথাও ঘোরাঘুরি করা বা বেড়াতে যাওয়া,বন্ধুবান্ধবদের সাথে গেট টুগেদার করা ইত্যাদি বেড়ে যাওয়া।

৭. একক পরিবারের মেয়েদের জীবন তুলনামূলক ভাবে অনেক উন্নত হয় তাছাড়া একক পরিবারে যে কোন বিষয়ে মেয়েদের মতামতের অনেক গুরুত্ব ও থাকে।

অসুবিধাসমূহঃ

১.একক পরিবারের শিশুরা প্রচন্ড আত্নকেন্দ্রিক এবং স্বার্থপর হয়। একা একা থাকতে থাকতে স্যাক্রিফাইস, কম্প্রোমাইজ ইত্যাদি জিনিসগুলোর সাথে পরিচিত হবার সুযোগ তারা সেভাবে পায় না।

২.একক পরিবারের আরো বড় সমস্যা হলো একাকিত্ব অনুভব করা।পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম হওয়ায় এবং প্রত্যেকেই ব্যস্ত হওয়ার কারনে একক পরিবারের বাচ্চাগুলো সবসময় খুব লোনলি এবং ইনসিকিউরড ফিল করে।

৩.পরিবারের বড়দের আশীর্বাদ ছাড়াই বড় হতে হয় একক পরিবারের বাচ্চাদের।প্রতিটা পরিবারেই অন্তত একজন বড় কারো আশীর্বাদ থাকাটা জরুরি। তাছাড়া বড়রা সবসময়ই ছোটদের ভালো চায় এবং সদুপদেশ ও দেয়।কিন্তু একক পরিবারে সবসময়ই একজন বড় কারোর আশীর্বাদ মিসিং থাকে।

৪.পরিবারের সদস্য দের সবার মাঝে ভালোবাসার যে অমোঘ বন্ধন থাকে,একক পরিবারে তার প্রচন্ড অভাব থাকে।একক পরিবারে মুলত পরিবারের অনেক ইমোশনাল ট্রেন্ড মিসিং থাকে যার ফলে এসব পরিবারের বাচ্চারাও ইমোশনাল টাচে কম থাকে।

৫.বিপদে আপদে সবচেয়ে বেশী ঝামেলায় পরে একক পরিবারের সদস্যরা।প্রয়োজনীয়  সাপোর্ট দেওয়ার মত পরিবারে কেউ থাকে না বিধায় হসপিটাল,বাসা, বাজার, রাস্তাঘাটে একক পরিবারের সদস্যরাই অনেক বেশি ঝামেলায় পোহায়।

ভালো থাকবেন,ভালো রাখবেন।

ধন্যবাদ।
 

Leave a Comment