সোশ্যাল মিডিয়া রাখুন বাচ্চাদের নাগালের বাইরে

  • রোজী আরেফিন
  • আগস্ট ২০, ২০১৯

চাকরি বাকরি ছেড়ে বেশ তো সারাদিন বাসায় থাকেন আর একটু পরেপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারেন।আপনার তো সময় কাটেনা আপনি আর কিই বা করবেন! ঠিকাছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি সময় কাটাচ্ছেন ভালো কথা কিন্তু আপনার সাথে আবার আপনার বাচ্চাকে নিয়ে কেন?এই যে আপনার বাচ্চাও অল্প বয়সেই ফেসবুক, ছবি আপলোড দেওয়া,এম বি কিনা এসব শব্দগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে যাচ্ছে এতে ক্ষতি টা কার হচ্ছে?

ক্ষতি কিন্তু দুজনেরই হচ্ছে,আপনার এবং আপনার বাচ্চার।আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সময় কাটানোর আগে নিন্মলিখিত পাঁচটি নিয়ম ভালো করে দেখে বুঝে নিন।

১. ভুলেও বাচ্চাদের সামনে ফেসবুক,টুইটার ইউটিউব ইত্যাদিতে লগ ইন করে বসে থাকবেন না।মনে রাখবেন আজকালকার বাচ্চাদের মনে অনেক কৌতুহল, আশেপাশে যা হচ্ছে যে দেখছে সবকিছু নিয়েই এখনকার বাচ্চারা জানতে চায় বুঝতে চায়।তাই আপনি যদি ভাবেন আমি আমার মত টাইম পাস করি বাচ্চারা তো কিছু বুঝবে না তাহলে আপনি এখনো আপনার বাচ্চার চেয়েও ছোট আছেন।

২. বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় টিভি দেখাতে চান দেখান কিন্তু প্লিজ মোবাইল অথবা ট্যাব টা দিয়েন না।যদি একান্তই দিতে হয় টুইটার,ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম যা আছে আপনার সব লগ আউট করে দিন।

৩. বাচ্চাদের সামনে যতটা সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কম কথা বলুন,যদি বলতেই চান তবে নেগেটিভ দিক গুলোই বলুন।সোশ্যাল মিডিয়া ভালো,এটা ছাড়া আমার চলেই না, আমি এটা ছাড়া বাঁচিইনা ইত্যাদি বাচ্চাদের সামনে ভুলেও বলবেন না।

৪. বাচ্চা নিয়ে লাইভে আসা বন্ধ করুন।নিজে যা মন চায় করতে করছেন এবার আল্লাহর ওয়াস্তে বাচ্চাদের এসবের মধ্যে ঢুকাবেন না।মনে রাখবেন আপনি বড় মানুষ হওয়ার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ার যেই নেশায় আক্রান্ত, আর একটা অবুজ বাচ্চা সেতো সুযোগ পেলে এই নেশায় ডুব দিবে!!

৫. পরিশেষে, বাচ্চাদের কে সময় দিন।তাদের কে আগের দিনের সুন্দর সুন্দর গল্প শোনান এবং তারা যদি আপনাকে প্রশ্ন করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে, তাহলে আস্তে আস্তে এসব মিডিয়ার কুফল সম্পর্কে তাদের জ্ঞান দিন।

একটা কথা মনে রাখবেন সাবালক হওয়ার আগে আপনার বাচ্চাকে সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে কোনভাবেই আপনার পরিচিত হতে দেওয়া উচিৎ নয়।সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে একটা বাচ্চা মানসিকভাবে বিকারগস্ত ও হয়ে যেতে পারে।তাই বাবা মা হিসেবে আপনার দায়িত্ব আপনার বাচ্চা যেন কোনভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার নেশায় পরে নিজের কোন ভয়াবহ ক্ষতি না করে!

ভালো থাকুন,ভালো রাখুন।

ধন্যবাদ।
 

Leave a Comment