অনেক তো হলো মেয়েদের বাঁচানো! এখন সময় ছেলেদের বোঝানোর

  • ফাতেমা আক্তার রিপা 
  • জানুয়ারি ২২, ২০২০

ধর্ষণ! ধর্ষণ! ধর্ষণ!!

এই একটি শব্দ এখন যেন নিত্যদিনের ডাল ভাতের মত শোনা যাচ্ছে চারদিকে। এক মাস থেকে শুরু করে সত্তর বছর বয়সের কোন মেয়ে,মা, বোন, দাদি, নানি কেও ছাড় পাচ্ছে না মানুষ নামের অমানুষ গুলোর হাত থেকে। কাল ফেসবুকে কোন এক্টা গ্রুপে দেখেছিলাম,চতুর্থ শ্রেনীতে পড়া ছাত্র প্রথম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে!রিয়েলি!!! চতুর্থ শ্রেনীতে পড়া একটা বাচ্চা কি আসলেই জানে ধর্ষণ মানে কি??

বাচ্চা বলছি কারণ চতুর্থ শ্রেনীতে পড়া একটা মানুষ কে বাচ্চা ছাড়া আর কিছু বলার আছে বলে তো মনে হয় না আমার। কি হচ্ছে এই দেশে? কি হচ্ছে এই সমাজে আর কি ই বা হচ্ছে আমাদের বিবেকের,মনুষ্যত্বের? এত এত ঘটনার পরেও আমাদের কারো হুশ নেই যে সামনে আর কি কি হতে পারে যদি না এখন ই এই ঘৃণ্য ব্যাপার টার বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তো।

সমাজের এই বিরুপ পরিবেশে আমাদের বাচ্চা গুলোও শুরুর আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা চোখ দুটো মেলে দেখছি,কান দুটি দিয়ে শুনছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করছি না। করতে পারছি না। একটা নাচের রিয়েলিটি শো'তে একটা প্রতিযোগী দল এসেছিল যারা গানে নয় সংলাপ দিয়ে নাচ করে। কিছু সংলাপ ছবির, কিছু নিজেদের বানানো বা বিখ্যাত কিছু সংলাপ দিয়ে তারা নাচ করে। তাদের একটা নাচের সংলাপের কথা গুলো ছিল এরকম-- বহুত হোয়া বেটি বাঁচাও, বেটি বাঁচাও। আব সামায় আয়া হে বলনে কি বেটা কো সামঝাও।

এই কথাটার মানে হচ্ছে,অনেক তো হলো মেয়েদের বাঁচানো। এখন সময় ছেলেদের বোঝানোর।

মেয়েদের নিজেদের সেইফটির জন্য কত কিছু করতে বলা হচ্ছে। সারাক্ষণ সাবধান থাকতে হবে,বাইরে একা চলাফেরা করতে ভয়,পর তো দুরেই থাক আপন মানুষ গুলোকেও বিশ্বাস করতে ভাবতে হচ্ছে দুবার। এখন সত্যি ই সময় এসেছে মেয়েদের সাথে সাথে ছেলেদের ও সাবধান করার,প্রকৃত শিক্ষা দেবার,মেয়েদের যথাযথ সম্মান দিতে শিখানোর।আর এটা প্রথম শুরু করতে হবে পরিবার থেকেই।যেদিন প্রতিটা পরিবারে ছেলেদের মেয়েদের সম্মান করতে শিখানো হবে সেদিন থেকে বোধহয় এই মেয়েরা একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবে।

সময় এসেছে সত্যি ঘুরে দাঁড়ানোর। যার যার জায়গা থেকে একটু একটু প্রচেষ্টা হয়তো পৌঁছে দিবে আমাদের ধর্ষণ মুক্ত একটি সমাজে,একটি পৃথিবীতে।

Leave a Comment