মন ভালো নেই বুঝবেন যেসব লক্ষণে

  • কবিতা আক্তার
  • অক্টোবর ১৬, ২০২১

শরীর ভালো রাখতে আমরা কত নিয়ম‌ই না মেনে চলি! নিয়ম করে ঔষধ খাওয়া, ডায়েট ও শরীরচর্চা সবই করা হয়! তবে মন ভালো রাখতে বিশেষ কিছু করা হয় কি?

আসলে কার মন কতটা ভালো আছে তা কারো মুখ দেখে সব সময় অনুমান করা সম্ভব না। কারন সবার মনেই অন্যরকম গল্প থাকে। যা ওই ব্যক্তি ছাড়া হয়তো অন্য কেউই জানেনা! এমনকি পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরাও জানতে পারেন না।

আরো পড়ুনঃ সোনামণিদের মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা নয়

কারণ এমন ব্যক্তিরা নিজের মনের ভেতর দুঃখ বা খারাপ লাগা নিরবে সহ্য করে যান। বিশ্বাস করে কারো কাছে তা বলতেও পারেন না। আর এভাবেই নিজের মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তবে এভাবে কতদিন নিজেকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব?
শরীরের সুস্থতার মতো মনকেও ভালো রাখা জরুরি।

তবে পারিবারিক অনেক বিষয় মান-সম্মান নষ্ট হওয়ার ভয়ে মনে লুকিয়ে রাখতে হয়। আর এতে মন খারাপ থাকে সব সময়। অনেক সময় আমাদের কাছের মানুষরা ও মন খারাপের বিষয়টি বুঝতে পারেন না।

এমনকি নির্দিষ্ট ওই ব্যক্তিও নিজের মন খারাপের বিষয়ে অবগত থাকেন না। কারণ তিনি অজান্তেই মনের মধ্যে বিশাল একধার বইয়ের নিয়ে বেড়াচ্ছেন হাসিমুখেই। তবে কিছুক্ষণ দেখে বুঝে নিতে পারবে না তো আপনার মন ভালো আছে কিনা কিংবা আপনি সত্যিই খারাপ আছেন-

অতীত নিয়ে বাঁচা: অতীতের দিন সবারই মনে পড়ে। কারণ স্মৃতির পাতা থেকে অতীতকে কখনো মুছে ফেলা যায় না। তবে অতীত আঁকড়ে বাঁচতে চাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তবে আপনি কি এখনো অতীতের কোনো ঘটনা ভেবে দুশ্চিন্তা করছেন?

আরো পড়ুনঃ কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ ও লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানুন

তাই হয়তো সবকিছু থেকে আপনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছেন? যদি এমন মানসিকতা আপনার মধ্যে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি ভালো নেই।

সবকিছুতেই বিরক্তির ছাপ: ক্লান্ত হলে কিংবা কাজের চাপ থাকলে আপনি বিরক্তবোধ করতেই পারেন! তবে যখন তখন বিরক্ত হয়ে যাবে এটিও কিন্তু মন খারাপের লক্ষণ।

যদি আপনি কোন বিষয় বারবার ভেবেই চলেন তাহলে অন্যান্য কাজে আপনি মনোযোগ হারাবেন। তাই মাথায় রাখুন নিজের পরিচয় কিন্তু নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে।

লাগামহীন জীবনযাত্রা: বেপরোয়া জীবন-যাপন করা মোটেও কারো কাম্য নয়। এজন্য সবাইকে ভাবতে হয় কে কি ভাববেন? তবে আপনার মধ্যে যদি এ ভাবনা না থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনি মানসিকভাবে ভালো নেই।

আপনি যদি কোনো ভালো কাজ করেন বা উন্নতি করেন তাহলে সবাইকে পাশে পাবেন। আর যদি খারাপ পথ বেছে নেন তাহলে পরিবার প্রীয়জন সবাইকেই হারাবেন। তাই অতীত আঁকড়ে নিজেকে ভুল পথে না নিয়ে বরং নিজের জন্য ভাবুন।

আরো পড়ুনঃ ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশি টান ও খিঁচুনি থেকে বাঁচতে কি করবেন

অন্যকে ভালো রাখার তাগিদ: অনেকেই আছেন যারা প্রিয়জনের বাধ্য হয়ে বেঁচে থাকেন। যদি সংসার ভেঙে যায় কিংবা যদি সঙ্গী ভুল বোঝে এসব ভেবে প্রিয়জনের হ্যা তে সম্মতি জানান ও না তে থেমে যান।

সংসারের কথা ভেবে অনেকেই এমনটি করলে মনে কোনে আফসোস ও ক্ষোভ বেড়ে যায়। আর এ নিয়ে মন খারাপ বাড়তেই থাকে যা প্রিয়জনও বুঝতে পারেন বা বোঝার চেষ্টাও করেন।

তবে মনে রাখবেন অন্যকে ভালো রাখতে গিয়ে নিজের জীবনের মুহূর্ত ভালো, ভালো সময় হারাবেন না। তখন আর কিছু করার থাকবে না তাই নিজের মত করে বাঁচতে শিখুন।

নিজের প্রতি অবিশ্বাস: নিজেকে ভালো রাখতে হলে আগে বিশ্বাস আনুন নিজের প্রতি। আমার দ্বারা এটি সম্ভব নয় এমন ভাবনা মনে আনবে না। আগে থেকে নেতিবাচক চিন্তা করা বোকামি। এর ফলে ব্যর্থতা, উদ্বিগ্ন মন আপনাকে চেপে ধরে এসব থেকে বেরিয়ে আসলে সুখে থাকবেন।

আরো পড়ুনঃ ৫ টি ভয়ানক মেয়েলী রোগ যা বেশিরভাগ নারীরা মুখ ফুটে বলতে পারেন না

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment