সম্পর্কে ক্ষমা চাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ ?

  • ফারজানা আক্তার
  • জানুয়ারি ১, ২০২২

মানুষ মাত্রই ভুল করবে। তার আচরণ, কর্ম - কান্ড, কথাবার্তার মাধ্যমে কাউকে না কাউকে সে কষ্ট দিয়ে থাকে। যখনই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কারণে আপনার বন্ধু, কলিগ, পরিবারের কেউ বা ভালোবাসার মানুষটি কষ্ট পেয়েছে তখনই তার কাছে আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত। 

তবে অনেকের ক্ষেত্রে ক্ষমা চাওয়ার অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। ক্ষমা চাওয়ার পর তাকে ক্ষমা করার বদলে হয়তো আরো বেশি অপরাধী করে ফেলা হয়! অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো সেই সম্পর্কটি ভেঙে যায়! এবং আরো নানান কিছু। তাই অনেকে অনেক সময় কোন ভুল করার পরেও স্বীকার করে নিতে চায় না। 

আরো দেখুন : জেনে নিন গর্ভধারণে ব্যর্থতার বিস্ময়কর কিছু কারণ..

তারা মনে করে ভুল স্বীকার করে নিলে সে অপরাধী হয়ে যাবে বা নিজেকে অন্যের কাছে ছোট করা হবে অথবা তার সম্পর্কটি ভেঙ্গে যাবে! রিলেশনশিপ এক্সপার্টরা বলেন যারা সম্পর্কে ক্ষমা চাইতে জানে না তাদের সম্পর্ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাঙ্গনের দিকে গড়ায়।সম্পর্কে ক্ষমা চাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। আজ আমরা সেগুলো জানবো :

১।  এমন অনেক কথা এবং আচরণ রয়েছে যা হয়তো আমরা আমাদের প্রিয়জনদের কাছ থেকে আশা করি না। আপনি ভুলক্রমে এমন কিছু করে বা বলে ফেলেছেন! এখন যার সাথে ভুল আচরণ করে ফেলেছেন তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিন। আপনি যখন তার কাছে ক্ষমা চাইবেন সে বুঝতে পারবে আপনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং কাউকে আঘাত করে কথা বলা মোটেই উচিত নয়। সে আপনার কাছে নিরাপদ অনুভব করবে। 

২। আপনি যখন কারো সাথে অন্যায় করেন তখন সে মনে করে আপনি শুধু তার সাথে অন্যায়ই করেননি, তাকে অসম্মানও করেছেন। যখন তার কাছে ক্ষমা চাইবেন তখন তার মনে হবে আপনি হয়তো ভুলক্রমে তার সাথে অন্যায় করে ফেলছেন কিন্তু তাকে অসম্মান করেননি। আপনি যখন তাদের বুঝানোর চেষ্টা করবেন ভুলটা আপনার দিক থেকে ছিলো, তারা সঠিক ছিলো। আপনার এই চেষ্টাতে তারা বেটার ফিল করবে। তাদের মন খারাপ দূর হবে। 

আরো দেখুন : ভ্যাসলিনের ১০টি চমৎকার ব্যবহার জেনে নিন...

৩। ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে নানান যুক্তি তর্কের সৃষ্টি হয়। মান - অভিমান দূর হবে। একে অন্যের সাথে কথা বলতে শুরু করে। দুইজনের জন্যই কমফোর্ট জোন তৈরী হয়। 

৪। একটি আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনা আপনাকে বুঝিয়ে দেয় আপনি যা করেছেন সেটা মোটেই ভালো কিছু করেননি। এবং এই আচরণের পুনরাবৃত্তি করবেন না বলে নিজের মনকেও শাসিয়ে নিতে পারেন এবং অন্যদেরও জানিয়ে দিতে পারেন। 

৫। একটি আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনা অন্যদের জানিয়ে দেয় আপনি এমন একজন মানুষ যে অন্যদের ইচ্ছে করে কষ্ট দেননি; সেটি ভুলক্রমে হয়ে গেছে। এবং ভবিষৎতে আপনি এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। তাছাড়া আপনার ঐটুকু খারাপ দিক ছাড়া আরো অনেক ভালো দিক রয়েছে। আপনি ওই খারাপ দিকটাকে ভালোগুনে কনভার্ট করার ব্যাপারে সচেতন হবেন। 

আরো দেখুন : কুমড়ার বিচির নানা উপকারিতা...

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment