চিকিৎসক জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
  • মার্চ ২৪, ২০১৯

সেসময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করি। কাজের অনেক চাপ। প্রতিদিন অনেক রোগী দেখতে হয়। একদিন এক রোগীকে ওষুধ আনতে দিলাম। সব ওষুধ হাসপাতালে সাপ্লাই থাকেনা। তাই মাঝে মাঝে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়। রোগীর স্বজন ওষুধ আনতে গেল। আমরা অন্য রোগী দেখতে থাকলাম। কাজ করছি। এমন সময় রোগীর সেই স্বজন আবার এলেন। কাজের সময় ঝামেলা করলে  বিরক্ত লাগে। একটু  বিরক্ত হলাম। তিনি ওষুধ এগিয়ে দিয়ে বললেন, "স্যার, এই ওষুধই আনতে দিয়েছিলেন? "

আমি ওষুধ হাতে নিলাম। তাকে আনতে দিয়েছিলাম লুমারটাম ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট ম্যালেরিয়াতে ব্যবহার করা হয়। যেহেতু বেশি ব্যবহার হয়না রাজশাহীতে তাই উনাকে একটু ঘুরতে হয়েছে। হাতে নিয়ে দেখি ওষুধের গায়ে লেখা আছে লুমটুম বা এই টাইপের কিছু। ইউনানি ওষুধ । কি রহস্যময় কাজ করে কে জানে! কয়েকজনকে ডেকে দেখালাম। হাসতে থাকলাম সবাই । দোকানদারের অসাধুতায় একটু অবাক এবং বিরক্ত  হলাম। ওষুধ না থাকলে দিবেনা ভাল কথা কিন্তু এই টাইপের উদ্ভট ওষুধ দিবে তাই কি মেনে নেয়া যায়? চিকিৎসক ওষুধ দিলে দোকান থেকে কেনার সময় মিলিয়ে নেয়া উচিত। কারণ অনেক ফার্মেসির মানুষ আছে যারা বেশ অসৎ। উল্টাপাল্টা ওষুধ খেলে ঝামেলা হতেই পারে। কিন্তু অনেকেই তখন চিকিৎসককেই দোষ দিবেন। নিজের বা ফার্মাসিস্ট এর দোষ ঢাকা পড়ে যাবে!! 
 

Leave a Comment