‍‍`অথচ তোমরা‍‍`

  • সাজেদা মুক্তা
  • জুলাই ১৪, ২০১৯

'অথচ তোমরা'

অথচ তোমরা যারা পুরুষ! খুব ব্যক্তিগত হতে চাও,

জানতে চাও ব্যক্তিগত সুখ -দুঃখ,
দিনশেষে শুধু সুখ-দুঃখের ফেরিওয়ালা মানুষটাকেই তোমাদের ব্যক্তিগত মনে হয় না।

নিঃসন্দেহে  পুরুষ আপনার ধৈর্য্য কম কিন্তু শক্তি অনেক বেশি 

কখনো কি ভেবে দেখেছেন,
 যে আপনি  না পারা কাজগুলো 
একটা  মেয়ে এক নিমিষেই করে দিচ্ছে।
 তার কাজকে আপনি  কতোটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন?

পুরুষ শাসিত সমাজে মেয়েটা মাথা নিচু করে নিজেও বলে সেই নাকি কিছুই করে না,
অথচ সে কখনো রাঁধুনি,কখনো দর্জি,কখনো ছেলে-মেয়ের শিক্ষিকা, শরীর খারাপের নার্স, স্বামীর সহধর্মিণী।অথচ তার কোনো মাইনে নেই।
মধ্য রাতে মশারি খুজতে খুজতে নিজেকে সামান্য একটা গৃহিণী মনে করে সেই।জুতসই হয়ে সেই সর্বদা সজাগ বাড়ির প্রতিটি কাজে।

ঘুম থেকে উঠে ডাইনিং টেবিলে চোখ পড়ে আপনার চোখ যখন চকচক করে অথচ তার অগোচরে  থেকে যায় তার গাঁয়ে লেগে থাকা গরম চুলার ভাব।

লবণ কম,ঝাল বেশি আপনার দৃষ্টি না এড়িয়ে গেলেও ঠিকই গরম তেলে ফস্কা পড়াটা আপনার দৃষ্টির বাহিরে চলে যায়।

যে নারী কিছুই করে না,
শুধু তার সন্তানের দায়িত্ব টা আপনি নিন,
তবে নিমিষেই সবকাজ করলেও সন্তানের চিৎকার শুনার জন্য আপনি প্রস্তুত থাকবেন না।

আপনারা নিজেরা নিজেদের কাজ বেঁচে নিয়েছেন,অথচ যে নারী সারাদিন ঘরে বসে খাটুনি খাটে  আপনারা তার নাম দেন অকর্মা।

যে নারীর স্বামী মারা গিয়েছে আমি দেখেছি তাকে মাটি কাটতে,ইট ভাঙ্গতে।
একটু লক্ষ্য করুন তো, যে স্বামীর বউ মারা গেছে তাকে কি ঘর সামলাতে দেখেছেন?

ঘর সামলাতে নিমিষেই তার প্রয়োজন একটা গৃহিণী।

আপনি খাটলে মাইনে পান,
আপনার স্ত্রী খাটলে ভালোবাসা পায় তো??

নিয়ম করে একটু অনুভূতি নিয়ে ছুঁয়ে দিন না,দুটো ভালোবাসার কথা বলুন চোখে চোখ রেখে।

বিশ্বাস করুন একটা মেয়ে এতোটুকুতেই পরিপূর্ণ সুখী।
মাঝেমধ্যে একটু সময় নিয়ে বুঝতে শিখুন,মেয়ে নামের সেই অদ্ভুত প্রাণীকে।আসলে ভালো আছে কি না!
 

Leave a Comment