সুস্থ্য জীবন যাপনে ভিটামিনের বিকল্প নেই
- আল আমীন
- মে ১৮, ২০১৮
সুস্থ্য থাকার জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। আর আমাদের জীবনের দৈনন্দিন অন্যান্য সমস্যার মধ্যে স্বাস্থ্য সমস্যাও গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যপার। সুতরাং, কেবল অসুস্থ হলেই চিকিৎসা, এমনটি নয়। আগে থেকেই উচিৎ যাতে অসুস্থতা এড়িয়ে বাঁচা যায়। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, পুরুষের তুলনায় নারীদের রোগের জটিলতা অনেকাংশে বেশি। অনেকে মুখ ফুটে কাউকে বলতেও পারেন না, আবার অনেকে সংকোচে এড়িয়ে যান বলে পরে দেখা যায় সামান্যতম ব্যপার থেকে বড় কোনো রোগ বা সমস্যা হয়েছে। অনেক স্বাস্থ্যসচেতন নারীরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে পছন্দ করেন। তবে কিছু ভিটামিন অব্যশই ডায়েট চার্টে থাকা উচিত। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধান করে থাকে। তাহলে আসুন তেমন কিছু ভিটামিন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক, যা বিশেষ করে নারীদের জন্য বেশি প্রয়োজন।
ভিটামিন এ : হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে সহায়ক এই ভিটামিন নারীদের ত্বক এবং পেশীও মজবুত করে। আপনি যদি নিয়মিত ভিটামিন এ গ্রহণ করে থাকেন সেটা আপনার দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থ্যতার ঝুঁকি কমাবে, এর ফলে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি ঘটবে এবং এটা বয়সবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকেও ধীর করতে সক্ষম। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন, টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, ব্রকলি, পেঁপে, দুধ, কলিজা ইত্যাদি। এগুলো সব বয়সী নারীদের জন্য প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন ডি : আমাদের শরীরের হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভিটামিন ডি’র বিকল্প নেই। এটার কাজ হচ্ছে দেহের অন্ত্র থেকে ক্যালসিয়ামকে শোষণ করা। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন ডি সামুদ্রিক মাছ, ফ্যাটি ফিশ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে রয়েছে। এটি পিএমএসের লক্ষণ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা হাড়ের সমস্যা অস্টিওপরোসিস রোধ করে।
ভিটামিন বি : ভিটামিন বি আপনার মেটাবলিজম বৃদ্ধি করবে, স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয় এমনটি বলেন পুষ্টিবিদগণ। বি৬ লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। ভিটামিন বি৯ ফলিক এসিড নামে পরিচিত যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডিপ্রেশন, ক্যান্সার ও মেমোরি লস প্রতিরোধ করে।
ভিটামিন বি৬ : মাছ, মাংস, বিনস, সবজি, ওটমিল ফল ইত্যাদি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার। হোমোসিসটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন বি৬। যা ক্ষতিকর এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড। এবং এটি হৃদ রোগের অন্যতম কারণ। এছাড়া স্মৃতি হারানোর সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৯ ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৭ ইত্যাদি খাবার রাখতেই পারেন।
ভিটামিন ই : বাদাম, লিভার অয়েল, পালং শাক, সানফ্লাওয়ার সিডস এগুলো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। বয়স বৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। এছাড়া এটি রাসায়নিক ক্রিয়া বা অক্সিডেশনকে প্রতিহত করে, এ অক্সিডেশন শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শরীরের স্নায়ু ও মাংসপেশির কাজ সঠিক করার জন্যও ভিটামিন-ই গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন সি : কমলা, আঙ্গুর, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন এমন একটি পুষ্টিকর উপাদান যা মানব শরীরের জন্য খুবই জরুরি। কারণ রক্ত চলাচল থেকে শুরু করে শিরা ও ধমনীর কর্মক্ষমতা বজায় রাখা, কোষ গঠন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি সব কিছুতেই ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি অপরিহার্য। এছাড়াও ত্বক সুন্দর রাখা ও দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন সি।
