দুধ এবং দুধজাত খবারের প্রয়োজনীয়তা

  • তাশফিয়া আমিন 
  • অক্টোবর ২১, ২০১৮

ডেইরি খাবার যেমন দুধ, পনির এবং দই এগুলো বেশ গুরুত্বপুর্ণ। শিশুর প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম এবং আরো কিছু পুষ্টি উপাদান এগুলো থেকে পাওয়া সম্ভব। দেশি পনির এবং ছানাও (cottage cheese) বেশ পুষ্টিকর। এগুলো থেকে ননি ঝেড়ে ফেলে যে সব পণ্য বিক্রি হয় সেগুলো কেনার চেষ্টা করুন। বাজারে এসব পণ্য ‘সেমি-স্কিমড’ বা ‘স্কিমড’ দুধ, ‘লো-ফ্যাট’ দই অথবা ‘হাফ-ফ্যাট হার্ড চিজ’ এসব নামে পাবেন। এধরনের খাবার দিনে দুই বা তিন পরিবেশনের সমপরিমান খাওয়া ভাল। তবে কিছু কিছু পনির এড়িয়ে চলা উচিত।

দুধে পর্যাপ্ত আমিষ এবং ক্যালসিয়াম থাকায় সব বয়সের মহিলাদের জন্যই তা দরকারি। গর্ভাবস্থায়, বিশেষ করে শেষ তিন মাসে নারীর দিনে ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার পড়ে। এছাড়া ১৮ বছরের কম বয়সি ছেলে-মেয়ে এবং মনোপজের পর মহিলাদের বেলায় এই পরিমান ১৩০০ মিলিগ্রামে দাঁড়ায়। ফলে নারীদের দিনে কমপক্ষে ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহন করতে হবে (তিন গ্লাস দুধ অথবা দুই কাপ দই থেকে তা পাওয়া সম্ভব)। এছাড়া দুধ থেকে ভিটামিন ডি, এ ও বি এবং পটাশিয়াম ফসফরাস ইত্যাদি অপরিহার্য উপাদানগুলোও পাওয়া যায়।

অনেক মহিলা, বলা যায় এশিয়দের প্রায় শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ, দুধের ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারেন না। কাজেই এ ধরনের খাবারে যদি পেট ফুলে যায় বা খারাপ লাগে তাহলে এগুলো এড়িয়ে চলাই ভাল। এমন হলে এগুলোর বদলে আপনি সয়ামিল্ক, বা তফু খেতে পারেন, যা আজকাল বেশিরভাগ সুপারমার্কেটেই পাওয়া যায়। এছাড়া দরকারি ক্যলসিয়ামের অভাব পূরণ করতে আপনি ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট (ভাল হয় যদি একই সাথে ভিটামিন ডি এবং ক্যলসিয়াম সম্বলিত অস্টাক্যাল ডি অথবা ক্যালবো ডি ট্যাবলেট খান) খেতে পারেন অথবা খাবারে ছোট কাটাযুক্ত মাছ যেমন কাচকি মাছের পরিমান বাড়িয়ে দিতে পারেন। এছাড়া সবজির ভেতর পালং শাক বা ব্রোকলি, ফলের ভেতর কমলা এবং বাদামের ভেতর কাঠবাদাম বেশি করে খাবেন।

Leave a Comment