ভেজিটেবল প্রোটিন নিয়ে কিছু কথা

  • রোজী আরেফিন
  • জুলাই ২৬, ২০১৯

অনেকেই আছেন যাদের এনিমেল প্রোটিনে ব্যাপক এলার্জি। এনিমেল প্রোটিন দেখলেই দশ হাত দুরে থাকা মানুষগুলোর যাতে দিন শেষে প্রোটিনের কোন ঘাটতি না থাকে সেজন্যেই আজকে আমাদের আলোচনা, কিভাবে ভেজিটেবল প্রোটিন দিয়েই একজন মানুষ তার প্রতিদিনের সবটুকু প্রোটিন চাহিদা মেটাতে পারেন।

সবার আগে এটা অবশ্যই জেনে রাখবেন,এনিমেল প্রোটিন যেহেতু খুব রিচ প্রোটিন সোর্চ তাই এর থেকে প্রোটিনের চাহিদা মেটানো খুব সহজ।কিন্তু ম্যাক্সিমাম প্লান্ট অর্থাৎ ভেজিটেবল থেকে আমরা এত কম পরিমানে প্রোটিন পাই যা আমাদের শরীরের চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগন্য।

তাই  যারা ভেজিটেবল ছাড়া অন্য কিছু খাবেন না বলে একেবারে পণ করেছেন,তাদের অবশ্যই এক ধরনের ভেজিটেবল না খেয়ে বিভিন্নরকম ভেজিটেবলস মিক্স করে খেতে হবে যাতে বিভিন্ন ভেজিটেবল থেকে বিভিন্ন অনুপাতের প্রোটিন মিলে একটা রিচ এমাউন্টের প্রোটিন বডিতে যেতে পারে।

ভেজিটেবল প্রোটিনের কয়েকটি উৎসঃ

১. সয়া বিন থেকে প্রস্তুতকৃত খাদ্যে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে।টফু,সয়া মিল্ক ইত্যাদি অন্তত কিছুটা হলেও প্রতিদিন এর খাবার তালিকায় রাখা উচিৎ। 

২. বাদাম এবং আমলকি তে ও ভালো এমাউন্টের প্রোটিন থাকে।এরা শুধু প্রোটিন সাপ্লাই ই করেনা সাথে সাথে এন্টি অক্সিডেন্ট সাপ্লাই করে আমাদের চুল,ত্বক এবং চোখ ও সুন্দর করে।

৩. লাল অথবা সাদা চালের ভাত দুটোতেই প্রোটিন রয়েছে ভালো পরিমানে।প্রতিদিন এক কাপ অথবা দুকাপ ভাত খেতে পারেন সহজেই।

৪. কুঁমড়ো বিচিতে ও রয়েছে প্রোটিন।এটি একটি মুখরোচক এবং শক্তিশালী খাবার।কুঁমড়ো বিচির ভর্তা দিয়ে ভাত মাখিয়ে মজা করে খেতে পারেন।

৫. প্রতিদিন একটি করে ডিম আপনাকে শুধু শক্তি যোগাতেই সাহায্য করবেনা বরংচ ডিমে আছে পর্যাপ্ত পরিমান প্রোটিন যা আপনার শরীরে প্রোটিন ঘাটতি দুর করতে সাহায্য করবে।

৬. কালারফুল বিভিন্ন শাকসবজির কম্বিনেশন যেমন ব্রুকলি, টমেটো, মটরশুঁটি, বিভিন্নরঙের ক্যাবেজ,পালংশাক, লাল শাক ইত্যাদি একসাথে রান্না করে সবজি হিসেবে খেলেও ভালো প্রোটিন পাবেন।

৭. ভাত এবং বিভিন্ন  প্রকারের ডাল দুটোই কিন্তু প্রোটিন সম্বলিত দানাদার খাদ্য শস্য। কিন্তু ব্যাপার হলো আপনি যদি আলাদা আলাদা করে এসব খাবার খান এখান থেকে যতটা প্রোটিন পাবেন তার চেয়ে ভাত আর ডাল একসাথে খেলে প্রোটিন পাবেন তুলনামূলক ভাবে আরো বেশী। 

৮. চিনাবাদাম অথবা চিনাবাদামের পেস্ট যাই বলিনা কেন বর্তমানে দুটোই বহুল প্রচলিত খাবার।বুদ্ধি করে যদি ব্রেড এর সাথে প্রচলিত বাটার বা লাগিয়ে পী-নাট বাটার বা চিনাবাদামের বাটার লাগিয়ে খান,তাহলে প্রোটিন তো পাবেনই সাথে সাথে চিনাবাদামের সাকুল্যে আপনার হার্টের স্বাস্থ্য টাও অনেক ভালো থাকবে।

৯. লাল আটা অথবা সাদা আটা যাই হোক খেতে পারেন রুটি করে বা অন্য কোন উপায়ে।এখান থেকেও কিন্তু প্রোটিন পাবেন সহজেই।

১০. সেদ্ধ করা একটা মাঝারি সাইজের আলু অথবা একটা পাকা আম,এবং সাথে একটা পাকা কলা এসব থেকেও কিন্তু মোটামুটিভাবে ভালো এমাউন্টের ভেজিটেবল প্রোটিন পেতে পারেন।

পরিশেষে, ভেজিটেবল  প্রোটিন বলেন আর এনিমেল প্রোটিন বলেন যাই খাননা কেন,সবচেয়ে ভালো হয় একজন ডায়েট স্পেশালিষ্ট এর কাছ থেকে আপনার সুবিধা এবং দরকার অনুযায়ী একটা স্ট্যান্ডার্ড ডায়েট চার্ট বানিয়ে সেটা নিয়মিত  ফলো করা। 

ভালো থাকুন,ভালো রাখুন।

ধন্যবাদ।
 

Leave a Comment