চোখের জন্য ভালো মিষ্টি আলু

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • জানুয়ারি ২৮, ২০১৮

আঁশজাতীয় খাদ্য উপাদানে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু  উপোসকালীন খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই আলু খেয়ে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা যায়। এই খাদ্যটি মিষ্টি হলেও প্রচুর পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ। আর মিষ্টি হলেও এটি রক্তে সুগারের মাত্রা না বাড়িয়ে বরং তা কমিয়ে রাখে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। উচ্চ আঁশজাতীয় খাদ্য উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।

শক্তিসমৃদ্ধ : মিষ্টি আলুতে থাকা সুগার রক্তে ধীরগতিতে প্রবেশ করে দেহে শক্তি সঞ্চার করে। এ কারণে ক্রীড়াবিদ ও খেলোয়াড়দেরকে এবং যারা রক্তের নিম্নচাপে আক্রান্ত তাদেরকে মিষ্টি আলু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সেদ্ধ মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে ও চটকিয়ে খেলে বিটা ক্যারোটিন (ভিটামিন অ্যা) সহজেই হজম হয়। এ ছাড়া সেদ্ধ করে খেলে রক্তে সুগারও কম মিশে।

ভাজা মিষ্টি আলু : ৩-৪ গ্রাম ঘিতে ভেজে খেলে এর পুষ্টি উপাদানগুলো আরো সক্রিয় হয় এবং সহজেই হজমও হয়। তবে বেশি ভাজা যাবে না। এ ছাড়া ৭-৮ মিনিট ধরে ভাপ দিয়ে বা রোস্ট করে খেলেও এর পুষ্টি উপাদান অক্ষত থাকে। মিষ্টি আলু থেকে বিস্কিট বানিয়েও খাওয়া যায়। তবে ডায়াবেটিস এবং কিডনি ও গলব্লাডারের সমস্যায় আক্রান্তরা মিষ্টি আলু এড়িয়ে চলাই ভালো।

চোখের জন্য ভালো : আফ্রিকার শিশুদের ওপর পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন এ এর চাহিদার ৩৫ থেকে ৯০ শতাংশই মিষ্টি আলুতে পূরণ হয়।

বুড়িয়ে যাওয়া এবং ক্যান্সাররোধী : মিষ্টি আলুতে যে ক্যারোটিন রয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যান্সাররোধী উপাদানসমৃদ্ধ। পরিপাকনালীর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় মিষ্টি আলু ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিপজ্জনক উপাদানগুলো শুষে নেয়। যারা নিয়মিত বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান তাদের ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে আসে ৩০ শতাংশ। অবসাদ প্রতিরোধ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, এবংহৃদপিণ্ড সচল রাখে ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 

মিষ্টি আলু ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ। যা ধমনী, রক্ত, হাড়, মাংসপেশি এবং স্নায়ুর তৎপরতা সচল রাখতে সহায়ক। মিষ্টি আলুতে থাকা পটাশিয়াম হৃৎকম্পন এবং স্নায়ুর সংকেত সচল রাখতে, মাংসপেশির সংকোচন শিথিল করতে, স্ফীতি কমাতে এবং কিডনির প্রতিরক্ষা ও তৎপরতায় সহায়ক। তবে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতি। মিষ্টি আলু খাওয়ার আগে রান্না করে নেওয়া ভালো। যাতে এতে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো সহজেই শুষে নেওয়া যায়।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment