মেসির কয়েকটি চমকপদ তথ্য!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ২৯, ২০১৮

ফুটবল জুদুকর লিওনেল মেসি। অনেকের কাছে তিনি আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরাদের একজন। এমন একজন ফুটবলারকে ঘিরে ভক্তদের বাড়তি উন্মাদনা থাকাটাই স্বাভাবিক।

ছন্দের জাদুকরের মাঠের রেকর্ড, অর্জন সম্পর্কে কম-বেশি জানা আছে প্রায় সব ফুটবলপ্রেমীর। কিন্তু মেসির বিষয়ে এমন কিছু তথ্য আছে সেটা সম্ভবত খুব কম মানুষই জানেন। হয়তো অনেকে জানেনই না।

(১) মেসির উদযাপন: গোল করলেই দুহাতের দুআঙুল উঁচিয়ে আকাশপানে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে উদযাপন করেন মেসি। কিন্তু কেন এ ভঙ্গি তার জানেন কী? না জানলে জেনে নিন-১০ বছর বয়সে দাদিকে হারান মেসি। দাদি ছিলেন ছোট ম্যাজিসিয়ানের ভীষণ প্রিয়। একসময়ের সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে সম্মান জানাতেই এমন উদযাপন তার।

(২) ভোজন রসিক মেসি: মেসি বাল্যকালে ছিলেন ভীষণ পেটুক।হাতের কাছে যা পেতেন তাই খেয়ে ফেলতেন। এতটাই ভোজনরসিক ছিলেন যে, এক পেয়ালা নুডলস চোখের পলকে সাবাড় করে ফেলতেন; কেউ টেরই পেতেন না। প্রিয় ছিল চর্বিযুক্ত সব খাবার।

(৩) স্ত্রী’র সঙ্গে সাক্ষাৎ: অ্যান্তনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন মেসি। তাদের ভালোবাসার ফসল হিসেবে আছে তিনটি পুত্রসন্তান (থিয়াগো, সিরো, মাতেও)। ২০১৭ সালে দীর্ঘদিনের বান্ধবীকে বিয়ে করেন মেসি। যা শতাব্দীর ‘শ্রেষ্ঠ বিয়ে’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই হবু স্ত্রীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন মেসি।

(৪) বার্সার সঙ্গে চুক্তি: ১১ বছর বয়সে মেসির গ্রোথ হরমোনের সমস্যা ধরা পড়ে। বিস্ময় বালককে ডেরায় ভেড়াতে আগ্রহ দেখালেও চিকিৎসা খরচ বহন করতে অপারগ ছিল রিভার প্লেট। চিকিৎসার জন্যে প্রতিমাসে প্রয়োজন ছিল ৯০০ মার্কিন ডলার। তখনই তার প্রতিভা সম্পর্কে জানতে পারেন কাতালানদের তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক কার্লেস রেক্সাস।

কার্লেস ছুটে যান আর্জেন্টিনা, ছোট শিশুটির খেলা দেখে মুগ্ধ হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে চুক্তি করতে মরিয়া হয়ে পড়েন রেক্সাস। হাতের কাছে কোনো কাগজ না পেয়ে একটি ন্যাপকিন পেপারে বাবা হোর্হে মেসির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেন এ কর্তা। পরের গল্পটা শুধুই দ্যুতিময়।

(৫) প্রিয় শখ: ফুটবলের বরপুত্রের খুবই পছন্দ ঘুম, ভিডিও গেম ও মুভি দেখা। ক্যারিয়ার শুরুর পর অধিকাংশ সময় এসব করেই কাটাতেন। বাবা হওয়ার পর তাতে পরিবর্তন আসে।পরে বাচ্চাকাচ্চাদের বেশি সময় দেন। সবসময় পাশে রাখেন স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে।

(৬) মেসির অপচ্ছন্দ/ঘৃণা: বার্সা প্রাণভোমরা সবচেয়ে অপচ্ছন্দ করেন মোবাইল ফোনে কথা বলতে। জরুরি প্রয়োজনেও এতে কথা বলেন না তিনি। এসএমএস দিয়েই কাজ সারেন। যোগাযোগের জন্য দরকারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তবু ফোনে কথা বলেন না।

আর/এস 

Leave a Comment