ফুটবল ক্যাপ্টেন থেকে ছেলে দলের হ্যান্ডবল কোচ

  • নিশাত রায়হান
  • মার্চ ৩, ২০১৮

২০১৪ সালে ফ্রান্সের পেশাদার ফুটবলে পুরুষ দলের কোচের দায়িত্ব নিয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন হেলেনা ডি কস্তা। ঠিক ৪ বছর পর বাংলাদেশও পেয়ে গেছে তাদের হেলেনা ডি কস্তাকে। বাংলাদেশের ক্রীড়া কোনো পেশাদার পুরুষ হ্যান্ডবল দলের প্রথম নারী কোচ হিসেবে চমক দেখিয়েছেন ডালিয়া আক্তার। মাদারীপুরের এই তরুণী একসময় বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। চোটের কারনে বাধ্য হয়ে ফুটবল ছাড়তে হয় তাকে। ফুটবল ছাড়লেও খেলার মাঠ ছাড়েন নি তিনি। হ্যান্ডবলকে বেছে নিয়ে নতুন করে ক্যারিয়ার গড়েছেন তিনি। সফলতাও পেয়েছেন কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসেবে। বর্তমানে বাংলাদেশ মহিলা হ্যান্ডবল দলের অধিনায়ক তিনি।

এই বছর জানুয়ারিতে যশোরে অনুষ্ঠিত এক্সিম ব্যাংক ২৭ তম জাতীয় পুরুষ হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় ঢাকা জেলার কোচের দায়িত্ব পান তিনি। ঢাকার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের নিয়ে ঢাকা জেলা হ্যান্ডবল দল গঠন করে প্রথম মিশনেই সফল হয়েছেন ডালিয়া। টুর্নামেন্টে ২৯ টি দলের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করে ডালিয়ার ঢাকা। জার্মানি থেকে কোচিংয়ের তালিম নেয়া ডালিয়ার স্বপ্নের আকাশ অনেক বিস্তৃত। ফুটবল ছেড়ে দিলেও স্বপ্ন দেখেন অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মেয়েরা বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণ করার গৌরব অর্জন করবে। অবসরের পর হ্যান্ডবল নিয়েই কাজ করতে চান তিনি। জাতীয় দলের কোচ হয়ে আরো বড় চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী ডালিয়া।

সামাজিক প্রতিবন্ধকতার বিপক্ষে লড়াই করে এগিয়ে আসা এই তরুনী বর্তমান সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন নিয়ে অনেকটাই সন্তুষ্ট। ছেলে-মেয়ে ভেদাভেদ পেরিয়ে খেলাধুলার জগতে মেয়েরা ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে উঠুক এটাই তার লক্ষ্য। তিনিই প্রথম নারী কোচ, কিন্তু তিনিই যেন শেষ নারী কোচ না হয়ে যান এটাই তার চাওয়া। তার মতে দেশে নারী কোচের সংখ্যা বাড়লে আরো বেশি বাবা-মা মেয়েদের খেলাধুলায় দিতে আগ্রহী হবে এবং নিরাপদ বোধ করবে। সামাজিক প্রতিবন্ধকতার বিপক্ষে লড়াই করে এগিয়ে আসা এই তরুনী বর্তমান সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন নিয়ে অনেকটাই সন্তুষ্ট। ছেলে-মেয়ে ভেদাভেদ পেরিয়ে খেলাধুলার জগতে মেয়েরা ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে উঠুক এটাই তার লক্ষ্য। তিনিই প্রথম নারী কোচ, কিন্তু তিনিই যেন শেষ নারী কোচ না হয়ে যান এটাই তার চাওয়া। তার মতে দেশে নারী কোচের সংখ্যা বাড়লে আরো বেশি বাবা-মা মেয়েদের খেলাধুলায় দিতে আগ্রহী হবে এবং নিরাপদ বোধ করবে।
 

Leave a Comment