প্রিন্সেস ডায়ানা! সৌন্দর্য আর ফ্যাশনে অদ্বিতীয় নারী ব্যক্তিত্ব

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • জানুয়ারি ১৫, ২০১৯

লেডি ডায়ানা ফ্রান্সেস স্পেন্সার (বিবাহ পরবর্তী নাম ডায়ানা ফ্রান্সেস মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর) জন্ম জুলাই ১, ১৯৬১। যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী এবং ১৯৮১ হতে ১৯৯৭ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের যুবরাজ্ঞী। প্রিন্সেস ডায়ানা ছিলেন সৌন্দর্য আর ফ্যাশনে অদ্বিতীয় নারী ব্যক্তিত্ব। ছিলেন ইংল্যান্ডের রাজবধূ। তার কোলেই আসে রাজপরিবারের দুই উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। ডায়ানা দেশ থেকে দেশে ছুটে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্ল্যামারাস ডায়ানা ছিলেন আইকন।

রাজ পরিবারের সঙ্গে তাদের বেশ লম্বা সময় ধরেই সম্পর্ক ছিল। বাবা স্পেন্সার আর অষ্টম আর্ল স্পেন্সারের সন্তান ছিলেন ডায়ানা। একাডেমিক পড়াশোনায় সুবিধা করতে না পারলেও নাচ ও ধর্মীয় গানে বেশ পারদর্শী ছিলেন তিনি। দানশীলতায় তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। কিন্তু তাঁর এই দাতব্য কার্যক্রম ঢাকা পড়ে যায় বিভিন্ন কেলেঙ্কারীর গুজবে, যার মধ্যে ছিল তাঁর বিয়ে সংক্রান্ত কাহিনী। চার্লসের সাথে ডায়ানার বিয়ে সুখে-শান্তিতে কাটেনি। নব্বুইয়ের দশকে ডায়ানার পরকীয়া প্রেমের কাহিনী সারা বিশ্বের পত্র-পত্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। চার্লসের বিশ্বাসঘাতকতাসহ নানা কারণে অবশেষে ১৯৯৬এ তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

ফ্যাশন আইকন ডায়ানা ছিলেন তার সময়ে সবচেয়ে বেশিবার ক্যামেরাবন্দী হওয়া সেলিব্রেটি। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে তার বিয়ের দৃশ্য ৭৪টি দেশে সম্প্রচার করা হয়। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সম্প্রচারে ২.৫ বিলিয়ন দর্শকের নজর ছিল। প্রায় ১০০টি দাতব্য প্রতিষ্ঠান সমর্থন করার কারণে তার মৃত্যুর কয়েক মাস পর তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

১৯৮১ খ্রীস্টাব্দে বিবাহের পর থেকে ১৯৯৬ খ্রীস্টাব্দে বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত তাঁকে হার রয়াল হাইনেস দি প্রিন্সেস অফ ওয়েলস বলে সম্বোধন করা হত। এর পরে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আদেশক্রমে তাঁকে শুধু ডায়ানা, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস বলে সম্বোধনের অনুমতি দেয়া হয়। চার্লসের সাথে ১৯৮১ খ্রীস্টাব্দে বাগদানের পর থেকে ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ডায়ানাকে বলা হত পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতিমান মহিলা। ফ্যাশন, সৌন্দর্য, এইডস রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে তাঁর অবদান, এবং ভূমি মাইনের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন তাঁকে বিখ্যাত করেছে। তাঁর জীবদ্দশায় ডায়ানাকে বলা হত বিশ্বের সর্বাধিক আলোকচিত্রিত নারী। অবশ্য সমালোচকদের মতে এই খ্যাতি এবং খ্যাতির জন্য প্রচেষ্টাই ডায়ানার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে ডায়ানা ও তাঁর তখনকার প্রেমিক দোদি ফায়েদ এক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন।

Leave a Comment