আইরিন জুবাইদা খান

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • এপ্রিল ২২, ২০১৯

আইরিন জুবাইদা খান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার সংস্থার ৭ম মহাসচিব। ২০১০ সনের ১৫ই মে তিনি ঢাকার ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি স্টারে পরামর্শদাতা সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। উনার জন্ম ২৪শে ডিসেম্বর, ১৯৫৬, ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)। আইরিন খান পূর্ব পাকিস্তানের একটি বিত্তবান পরিবারে বেড়ে ওঠেন। তিনি পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ডে যান এবং সেখানে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অভ ম্যানচেস্টার-এ পড়ালেখা করেন। সেখান থেকে তিনি হার্ভার্ড ল' স্কুল-এ পড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার নিয়ে গবেষণা করেন এবং ১৯৭৮ সালে স্নাতক লাভ করেন।

আইরিন ১৯৭৭ সালে কনসার্ন ইউনিভার্সাল নামের একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন। সংস্থাটি চিলড্রেন ইন ক্রসফায়ার নামের আরেকটি রিলিফ সংস্থার সাথে অংশীদারীতে কাজ করত। ১৯৭৯ সালে তিনি ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অভ জুরিস্টস-এর অধীনে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৮০ সালে আইরিন জাতিসংঘে কাজ করতে যান। তিনি জাতিসংঘের শরণার্থীদের হাই কমিশনার প্রকল্পে ২০ বছর চাকুরি করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সংস্থাটির ভারতীয় চিফ অভ মিশন নিযুক্ত হন। কসভো সংকটের সময়ে আইরিন ম্যাসিডোনিয়াতে ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন।

২০০১ সনে আইরিন খান মহাসচিব পদে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে যোগ দেন। তিনি প্রথম মহিলা, প্রথম বাংলাদেশী, প্রথম এশীয় এবং প্রথম মুসলিম হিসেবে এই মর্যাদা লাভ করেন। মহাসচিব হিসেবে প্রথম বছরে তিনি সংকটপুর্ণ পরিস্থিতে অ্যামনেস্টি যেভাবে সাড়া দেয় তা সংস্কার করেন এবং নারীদের প্রতি দাঙ্গার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক অভিযানের সুচনা করেন। খান একটি ফোর্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ, পিলকিংটন ওম্যান অভ দি ইয়ার পুরস্কার (২০০২) এবং সিডনি শান্তি পুরস্কার (২০০৬) লাভ করেছেন। ২০০৭ সালে গেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচনের জন্য যে দুজন ব্যক্তি মনোনিত হন, তার মধ্যে তিনি একজন। তিনি ২০০৯ সনের জুলাইএ স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ল অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক। কাজের সূত্রে এখন ইতালির রাজধানী রোমেই থাকেন।

টি/আ

Leave a Comment