সেসময় আমার ভাগ্য আমার সাথে ছিলো না : বিপাশা কবির

  • ফারজানা আক্তার
  • জানুয়ারি ৯, ২০১৮

আমরা যারা সাধারণ জনগণ রয়েছি তাদের সবার একটি আলাদা জানার আগ্রহের জগৎ রয়েছে ।  সেই জগৎতে আমরা সবাই, তারকা বনে যাওয়া মানুষগুলোকে নিয়ে জানতে চায়।  তাদের ছোটবেলা,বড়বেলা, বেড়ে উঠা, পড়াশোনা, স্কুলজীবন, কলেজজীবন , প্রথম প্রেম, অর্জন ইত্যাদি সম্পর্কে জানার অধীর আগ্রহ রয়েছে । সেই জানার আগ্রহ থেকে আজ আমরা জানবো জনপ্রিয় অভিনেত্রী আইটেম গার্ল খ্যাত বিপাশা কবির সম্পর্কে । 

বিপাশা কবির (Bipasha Kabir) মিডিয়ায় আসেন লাক্স  চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় সেরাদের তালিকায় নাম লিখিয়ে  তবে চলচ্চিত্রে তিনি প্রবেশ এবং পরিচিত হয়ে ওঠেন আইটেম গানে অভিনয়ের মাধ্যমে । চলচ্চিত্র ছাড়াও টিভি নাটকে অভিনয় এবং বিজ্ঞাপনে মডেলিং করেছেন বিপাশা । মডেলিং এবং নাটকে অভিনয়ে নিয়মিত হলেও ভালো গল্পের ভালো চলচ্চিত্রে সবসময়ই আগ্রহী ছিলেন বিপাশা কবির । শাহিন সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রং’ চলচ্চিত্রের আইটেম গানে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন । শওকত আলী ইমনের সুর ও সঙ্গীতায়োজনে গানটি গান জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মিলা । সাইফ খান কালুর কোরিওগ্রাফিতে আইটেম গানটিতে পারফর্ম করে বিপাশা ।

আইটেম গানের অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও নায়িকা হিসেবে তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমা করেছেন। তার সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গুন্ডামি, আড়াল, ক্রাইম রোড, পোড়ামন, বাজে ছেলে-দ্য লোফার, জিরো থেকে টপ হিরো। গুন্ডামি হচ্ছে তার প্রথম সিনেমা। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে 'পাষান' সিনেমাটি।  চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন 'রোড নাম্বার ৭' নামের একটি সিনেমায়।  আরো কিছু সিনেমার কথাবার্তা চলছে।  খুব শীগ্রই সেগুলোর নাম প্রকাশ করা হবে। 

ওমেন্স কর্নারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিপাশা কবির নিজের অনেক অজানা কথা, ছোটবেলার কথা , স্বপ্নের কথা শেয়ার করেছেন।  ওমেন্স  কর্নারের পাঠকদের জন্য তার বিশেষ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো। বিপাশা কবিরের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফারজানা আক্তার। 

ওমেন্সকর্নার : প্রথমেই আপনার ছোটবেলা সম্পর্কে একটু জানবো ।  একটু যদি বিস্তারিত বলেন ।

বিপাশা কবির : আমার জন্ম হয়েছে ঢাকায় । আমি নানা-নানুর কাছে বড় হয়েছি । ১৭বছর নানা নানীর কাছে ছিলাম ।  আমার নানা সরকারি একাউন্টেড অফিসার ছিলেন । নানা-নানুর সাথে মতিঝিলে থাকতাম । পরে দক্ষিণ বনশ্রীতে শিফট হয়েছিলাম । ১৭বছর পর বাবা মায়ের কাছে আসি । পড়াশোনা করেছি দক্ষিন বনশ্রী মডেল হাই স্কুলে । কলেজ জীবন কেটেছে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে আর ভার্সিটি এশিয়া প্যাসিফিকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে ।

ওমেন্সকর্নার :  ছোটবেলা থেকেই কি নায়িকা হবার স্বপ্ন ছিলো ? নাকি শখের বসে এই পথে হঠাৎ হাঁটা শুরু করেছেন ?

বিপাশা কবির : ছোটবেলা স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হবো । বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিলো হয় আমি ডাক্তার হবো কিংবা আর্কিটেক্ট হবো । আমি রক্ত সহ্য করতে পারি না তাই ডাক্তার হইনি । আর্কিটেক্ট হওয়ার ভীষণ ইচ্ছে ছিলো কিন্তু কেন জানি হয়নি ! কেন হয়নি সেটা জানি না কিন্তু হয়নি ।

বিপাশা কবির

ওমেন্সকর্নার : লাক্স  চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় কিভাবে আসা হলো ? এই চলার পথটা কেমন ছিল?

বিপাশা কবির : আমি যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হই তখন লাক্স  চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় যাই । তখন অনেকে আমাকে ফটো জেনিক বলতো ।  ওই হিসাব করেই শখে লাক্স  চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় আসা । আমি প্রথমে শখেই অভিনয়ে এসেছি।  প্রথম এক দেড় বছর আমি শখের বসেই অভিনয় করেছি , বর্তমানে এখন এটা আমার প্রফেশন হয়ে গেছে।

লাক্স  চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় যখন ১৪ তে এসে আউট হয়ে গেলাম তখন নিজে নিজেকে একটু চাপে রেখেছি । কেন এমন হলো এটা ভেবে নিয়েই নিজেকে নিজে চাপ দিয়েছি।  এই চাপ থেকেই ইচ্ছে করে আমি কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন নাটকে আমি কাজ করেছি। নাটকে কাজ করতে করতেই আমি জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে একটা চলচ্চিত্রে কাজের অফার পাই।  আমার প্রথম চলচ্চিত্রের কাজ হচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে 'ভালোবাসার রং' সিনেমার আইটেম সং ছিলো । ওই সিনেমায় আমার হিরোইন হয়ে আসার কথা ছিলো । পরে কি হলো সেটা ঠিক জানি না  ! আইটেম সং দিয়েই আসলাম ।  ঐটাও আমার শখের বসেই কাজ ছিলো।

অনেকেই আমাকে বলতো তুমি ফ্লিমে ঢুকো না কেন ! ফ্লিমে কাজ করো না কেন ! আমি বলতাম ফ্লিমে কিভাবে কাজ করবো?  ফ্লিমে তো আমার পারিবারিক কেউ নেই, পরিচিতও কেউ নেই । দেন আমি চিন্তা করলাম লাক্স  চ্যানেল আই প্রতিযোগিতা নামের একটা প্লাটফর্ম আছে ।  সেখানে যাওয়া যায় ।সেই ভাবা থেকেই লাক্স  চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা । লাক্স  চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে একটু প্রিপারেশন নিলাম ।  প্রিপারেশন তো তেমন কিছু না , তখন আমি একটু মোটা ছিলাম। নিজেকে স্লিম করে নিলাম । তারপর সেই প্রতিযোগিতার প্রতিটা রাউন্ড পার হয়ে ১৪তেএসে আউট হয়ে গেলাম।  আমি হয়তো তখন সেই পরিবেশের সাথে মানানসই ছিলাম না, আর তখন আমি এতকিছু বুঝতামও না । কোনো কারণ বসত আমার লাক তখন ফেভার করে নাই ।

ওমেন্সকর্নার : আপনি বেশি কয়েকটি নাটকে , বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন । সেগুলোর মধ্যে আপনার পছন্দের নাটক, চরিত্রের কথা শুনবো ।

বিপাশা কবির : পছন্দের নাটক বলতে কি বলবো ! খুব বেশি নাটকে কাজ করি নি, তবে সংখ্যাটা একেবারে আবার কমও না । নিজের করা প্রতিটা নাটকই আমার পছন্দের তবে স্পেসিফিক পছন্দের নাটকের কথা এখন আমার ঠিক মনে পড়ছে না । যখন লাক্স থেকে বের হই তার পরেই প্রথম একটা নাটকে কাজ করেছিলাম,সেই নাটকে কাজ করার পর ঈশিতা আপু আমার মাথায় হাত রেখে বলেছিলো এই মেয়ে কিভাবে ১৪তে এসে আউট হয় ! আপু আমার কাজের খুব প্রশংসা করেছিলেন । 

এই যে প্রথম কাজেই ঈশিতা আপুর মতো মানুষের কাছ থেকে আমি এমন আশীর্বাদ পেলাম এটা আমার খুব বড় পাওয়া ছিলো । এখনো সেই ঘটনা আমাকে ইমোশনাল করে দেয় ।  আমার আরেকটা নাটক ছিলো 'জলছাপ'। সেখানে ছোট্ট একটা চরিত্র ছিলো আমার কিন্তু খুব ইফেক্টিভ ছিলো । খুব প্রশংসা পেয়েছিলাম তখন । পরিচালক আলভী ভাইয়ার একটি নাটকে কাজ করেছিলাম ।  ভাইয়া আমাকে বলেছিলো তুমি ডে বাই ডে খুব ভালো করছো । ছোট ছোট কাজে এই প্রশংসাগুলো আমার মনে দাগ কেটে গেছে । 

ওমেন্সকর্নার : আপনার পছন্দের কয়েকজন অভিনেত্রী , অভিনেতার নাম শুনবো। (দেশ বিদেশ উভয়েরই )এবং কার বিপরীতে কাজ করার স্বপ্ন দেখছেন ?

বিপাশা কবির : আমি খুব বেশি বড় স্বপ্ন দেখি না । আমাদের দেশের সবাই স্বপ্ন দেখে শাকিব খানের সাথে কাজ করবে । আমি স্বপ্ন দেখি দেবের সাথে কাজ করবো । তবে স্বপ্ন যদি বলি তাহলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শাকিব খানের সাথে কাজ করার স্বপ্ন দেখি ।  ওনার সাথে কাজ করতে পারলে তখন নিজেকে কোথাও একটু দাঁড় করাতে পারবো । দেশের প্রক্ষাপটে প্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ, শাকিব খান । সালমান শাহ এর পরেই শাকিব খান । বাহিরের দেশের সালমান খান খুব ভালো লাগে তাকে । হিরো হিসেবে চাই সালমান খানকে ।  শাহরুখ খান , হৃতিক রোশনকেও ভালো লাগে ।  নিজের দেশের অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা, শাবানা ম্যাম কে খুব ভালো লাগে আর বাহিরের দেশের কোয়েল মল্লিক, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে খুব ভালো লাগে ।

ওমেন্সকর্নার : আপনার পরিবারের কথা একটু শুনবো । তাদের কাছ থেকে কতটা সহযোগিতা পাচ্ছেন ? প্রথম থেকেই তারা আপনার উৎসাহ দিয়ে আসছিলো ?

বিপাশা কবির : আমি যে পরিবার থেকে এসেছি সেখানে আইটেম সং কখনোই সাপোর্ট করে না ।  আমি খুব কনজারভেটিভ পরিবার থেকে এসেছি । আমার পরিবারের সবাই খুব শিক্ষিত ।  আমার বাবা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে রসায়ন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন । আমি একটু স্বাধীন থাকতে পছন্দ করতাম ।  সেই ছোটবেলা থেকেই আমি স্বাধীন থাকতে পছন্দ করি এবং নিজের শখের বসে অনেক কাজ করেছি ।  আমি কিন্তু শখের বসে টিউশনিও করেছি ।  টিউশনি করার কোনো দরকার ছিলো না আমার কিন্তু ওই যে শখ ! আমার মা ছাড়া অন্য কেউ আমাকে সাপোর্ট করে নি । তবে বর্তনামে আগের সেই কঠিন অবস্থা এখন নেই ।  টুকটাক বাঁধা এখনো আসে তবে আগের থেকে অনেক কমে এসেছে ।

ওমেন্সকর্নার : একটা সিনেমায় একটা আইটেম সং-য়ের গুরুত্ব কতখানি আপনি মনে করেন ?

বিপাশা কবির : আমি একটু উধাহরণ দেয় পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী সিনেমায় আমাকে অফার করা হলো আইটেম সং করার । কিন্তু এই সিনেমাতে আইটেম সং রাখার কোনো প্রয়োজনই নেই ।  অনেকেই আমাকের দিয়ে আইটেম সং করিয়ে নিতে চায় ।  কিন্তু সব সিনেমায় আইটেম সং-য়ের দরকার নেই । আইটেম সং দর্শককে একটু বেশি টানে তাই অনেকেই দরকার হলেও আইটেম সং রাখতে চায়, না হলেও রাখতে চায় ।  আমি সোজা কথা বলার মানুষ যেখানে আইটেম সং-য়ের প্রয়োজন নেই,  সেখানে এই আইটেম সং না রাখায় ভালো।

ওমেন্সকর্নার : আপনি কিছু সিনেমায় নায়িকা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই সিনেমাগুলো নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী ?

বিপাশা কবির : জাজ থেকে আমার একটা ছবি আসার কথা ছিলো নাম 'তালাশ' । কিন্তু কেন জানি সেটা এখন আসছে না ।  জাজ থেকে বলা হয়েছে নেক্সট কোনো ভালো ছবি হলে আমাকে জানাবে । আব্দুল আজিজ ভাই বলতে পারবে কেন এমন হচ্ছে ! সায়মন তারেকের 'রোড নাম্বার ৭' নামের একটি ছবির কাজ জানুয়ারীতে শুরু হওয়ার কথা। সেটা কবে শুরু হবে এখনো জানি না। গল্পটা ভালো আশা করি সিনেমাটা হলে ভালো কিছুই হবে।  আজকাল সিনেমার যা অবস্থা ভালো ভালো আর্টিষ্টরাই যেখানে হতাশ, সেখানে আমি আর কি বলবো !

ওমেন্সকর্নার : আমাদের দেশে অনেক মেয়েই ঘরের বাহিরে কাজ করছে । এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তারা অনেক পুরুষদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে । আপনি এটাকে কতটা পজেটিভ ভাবে দেখছেন ? কি বলবেন মেয়েদের এই অগ্রগতিকে ?

বিপাশা কবির : ডেফিনিটলি এটা নিয়ে আমি পজেটিভ । যতই আমরা চিৎকার করে বলি ছেলে মেয়ে সমান কিন্তু সব ক্ষেত্রে আমরা সমান নই ।  এই একটা জায়গা কর্মক্ষেত্রে কিন্তু ছেলে মেয়ে দুইজনই সমান ।  আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেয়ে, স্পিকার মেয়ে এই ব্যাপারটা ভাবতেই অন্যরকম ভালো লাগে ।  আজকাল মেয়েরা পাইলটও মেয়ে হচ্ছে । আমি চাই মেয়েরা আরো এগিয়ে আসুক । এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি খুব পজেটিভ ।

ওমেন্সকর্নার : মেয়েরা আগের থেকে অনেক বেশি শিক্ষিত হয়েছে, কর্মজীবী হয়েছে তবুও কিন্তু তারা ঘরে বাহিরে এখনো শারীরিক মানসিকভাবে হ্যারাসমেন্টের শিকার হচ্ছে । একে কিভাবে দেখছেন ?

বিপাশা কবির : এই বিষয়টা নিয়ে আমি বলবো আমাদের মন মানসিকতা কথা । আমরা বাঙ্গালী এটা মনে রাখতে হবে । এখানে আরেকটা কথা হচ্ছে আইন।  আইন যতদিন এই বিষয়ে কঠিন না হবে ততদিন এমনই চলতে থাকবে । বাহিরের দেশের দিকে আপনি তাকান সেখানে মেয়েরা জিন্স পরছে, অফিস করছে , রাস্তায় চলাফেরা করছে ।  কেউ কারো দিকে তাকিয়েও দেখছে না । সবাই ব্যস্ত আর ওদের আইনও অনেক স্ট্রিক । আমাদের আইন আরো অনেক স্টিক হলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। 

মেয়েদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ছেলেদের মানসিকতার পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি কারণ একজনের উপর কোনো নিয়ম চাপিয়ে দিয়ে আপনি সেটার থেকে ভালো কোনো ফল পাবেন না। কেউ যখন মন থেকে অনুভব করে এই কাজটা খারাপ সে তখন নিজ থেকেই নিজেকে সংশোধন করে নিবে। আমি এমনটা অনুভব করি।  নিজের মন থেকে কিছুর টান অনুভব করা, বা গিল্টি ফিল করাটাই আসল, চাপিয়ে দেয়া জিনিসের ফলাফল ভালো হয় না । 

ওমেন্সকর্নার : ওমেন্স কর্নারকে সময় দেবার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । আপনার সামনের পথগুলোর জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা । ভালো থাকবেন। 

বিপাশা কবির :  ওমেন্সকর্নারকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ । ওমেন্সকর্নারের জন্য অনেক বেশি শুভ কামনা।  চলার পথ সুন্দর হোক । 

Leave a Comment