ঢাবিতেও প্রথম শ্রেণিতে প্রথম অক্সফোর্ডের মুনজেরিন

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ১৩, ২০২০

ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইংরেজি শিখিয়ে খুব অল্প সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনজেরিন শহীদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।।তিনি ভর্তি হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডে তবে ঢাবির মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে এরই মধ্যে।

সেখানে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বিষয়টি নিয়ে দিন ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন ওমেন্স কর্নারের পাঠকদের জন্য এই কৃতী শিক্ষার্থী স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো -

সম্প্রতি তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছেন স্নাতকোত্তরে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হওয়ায় বিষয়টি শেয়ার করে নিজেরাই সফলতা গল্প শেয়ার করেছেন তার ভক্তদের সাথে নিচে তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

আলহামদুলিল্লাহ, আমি আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর প্রথম হয়েছি বেশ কিছুদিন আগের খবর এটা কিন্তু আপনাদের সাথে শেয়ার করার আগে আপনাদের পুরো গল্পটা গুছিয়ে বলি।

আরো পড়ুনঃ ডাল পুরি

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকে আমি কেমন পড়াশোনা করতাম না। সবসময় ক্লাসের চুপচাপ থাকতে ভালো লাগতো। ক্লাসে টিচার কখনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে আমি কোনদিনও স্বেচ্ছায় উত্তর দেওয়ার জন্য হাত তুলতাম না। কেন যেন ক্লাসে কথা বলতে ভালো লাগতো না। সব সময় সবার মনোযোগ থেকে দূরে থাকতে ভালো লাগতো। পড়াশোনাটা মোটামুটি পার পেয়ে যাওয়ার মত করে রাখতাম। বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকে আমি দুটো জায়গায় চাকরি করতাম, অনেক সময় দেখা যেত পরীক্ষার আগে চাকরির কাজও থাকত, খুব কষ্ট হতো সবকিছু ব্যালেন্স করতে।

অনেক ইচ্ছা ছিল নিজের খরচ নিজে চালাবো, বাবা মায়ের উপর থেকে চাপ কমাবো। তাই কাজটাকে বেশি ফোকাস করতাম। অনেক সময় এমন হতো, চাকরি করে ক্লাসে দৌড়াতাম ক্লাস শেষ করে আবার চাকরিতে দৌড়াতাম। রিকশায় বসে বনরুটি আর কলা খেতাম দুপুরে। দিনগুলো এমন ছিল!

আরো যদি বলে সাহিত্য পড়তে আমার ভাল লাগত না। মনে হত গল্পের বই এভাবে ব্যবচ্ছেদ করে পড়তে হলে গল্পের বইয়ের মজাটা থাকে কোথায়? কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় বর্ষে যখন আস্তে আস্তে ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং ক্লাস শুরু হয় তখন থেকেই মূলত ক্লাসগুলো ভালো রাখতে শুরু করে। ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং এর প্রতি আগ্রহটা তখন থেকেই শুরু। সে ভালো লাগার কারণেই পরীক্ষার আগের সময়টা একটু পড়াতাম। কিন্তু এই পড়াশোনা-চাকরি-পড়াশোনা ব্যালেন্স করতে গিয়ে বহু ট্রিপ, হ্যাং আউট মিস করেছি। আমাকে যারা কাজ থেকে দেখেছে তারা জানে আমি গত দুই-তিন বছর ধরে পরীক্ষার আগের দিনগুলো টানা অনেক রাত ঘুমাতাম না। পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে যেতাম পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরে এরপ্র ঘুম। আর কে পায় তখন আমাকে!

স্নাতকোত্তর পড়ার সময় কিন্তু অনেক তত্ত্ব, ব্যবহারিক ক্লাস করেছিলাম যার শিক্ষা দিয়ে আমি আমাদের 'ঘরে বসে Spoken English' কোর্সটি বানাই। এই কোর্সটা নিয়ে আমি অনেক অনেক খুশি এবং গর্ববোধ করি। কারণ এই কোর্সটা বানানোর সময় অনেকবার মনে হয়েছিল, অবশ্যই ক্লাসে যা শিখেছি তা কাজে লাগাতে পারছি এবং তাদের অন্যদের সাহায্য করতে পারছি। কারণ জীবনে আসলে শুধু নিজে প্রথম হলে তো হবে না, যে শিক্ষাটা অর্জন করেছি তা দিয়ে অন্যদেরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ যেসব খাবারে  দূর হবে মুখের ব্রণ !

আমার স্নাতকোত্তরে প্রথম হওয়ার খবরটা আরো অনেক আগে থেকে জানতাম। কিন্তু আগে মনে হতো প্রথম হয়েছি তো কি হয়েছে? এই প্রথম হওয়াটাকে কি কাজে লাগাতে পারছি?

কিছুদিন আগেও মনে হতো পারি নাই কিন্তু আমাদের Spoken English বই আর কোর্সে আপনাদের সাড়া দেখে মনে হচ্ছে, এখন একটু হলেও মনে হয় কাজে লাগাতে পেরেছি। কতটুকু সাহায্য করতে পেরেছি জানি না, কিন্তু আরও অনেককিছু করার ইচ্ছা আছে ইংরেজি নিয়ে আপনাদের জন্যে। দোয়া করবেন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment