মাছের আঁশের ব্যবসা! সেও কি হয় না-কি!

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ২৭, ২০২০

খুলনার মো. জুলফিকার আলম অবশ্য ১৬ বছর আগের একটি ঘটনার কথা বলেন। বলেন, ‘খুলনায় বিদেশি এক ক্রেতার সঙ্গে পরিচয় হয়। সে-ই প্রথম বুদ্ধি দিয়েছিলো। মাছের আঁশ প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রপ্তানি কীভাবে সম্ভব, তাও শিখিয়ে দিলেন তিনি। সেই থেকে পথ চলা শুরু, আর পেছনে তাকাতে হয়নি।' এখন মাছের আঁশ শুধু রপ্তানি করছেন না, রীতিমতো দেশে আন্তর্জাতিক মানের প্রক্রিয়াকরণ কারখানা করার চিন্তা করছেন মো. জুলফিকার আলম।

আরো পড়ুনঃ খাওয়ার পর পেট ভরে পানি খাচ্ছেন?

মা এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির সংক্ষিপ্ত রূপ মেক্সিমকো। "মেক্সিমকো" জুলফিকার আলম সাহেবের প্রতিষ্ঠানের নাম । প্রশ্ন জাগে মাছের আঁশ থেকে কী ধরনের ব্যবসা হতে পারে? জুলফিকার আলম জানান- ওষুধ, প্রসাধনসামগ্রী, ফুড সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় মাছের আঁশ। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোলাজেন নামক একটি পণ্য বিক্রি হয় তা ও তৈরি হয় এই মাছের আঁশ দিয়ে। জাপান হচ্ছে মাছের আঁশের বড় রপ্তানি গন্তব্য। কিন্তু এটি জাপানে সরাসরি পাঠানো যায় না।

চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় দুটি আলাদা কোম্পানি খুলেছে জাপানি একটি বড় কোম্পানি। সেখানে পাঠানোর পর সেখান থেকে মূল কোম্পানি নিয়ে যায়। দেশে থাকা ৩ টি কোম্পানির মাধ্যমে বছরে ৮০০ থেকে ১ হাজার টন মাছের আঁশ রপ্তানি করা যায় যার মোট রপ্তানি মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ ডলার। এর মাঝে জুলফিকার আলমের মেক্সিমকো কোম্পানির রপ্তানি পরিমাণে বেশি।

আরো পড়ুনঃ খালি পেটে কেন চা খাবেন না

বছরে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, 'বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা নগদ প্রণোদনার আবেদন করেছি। বাংলাদেশ ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড কমিশন এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। যতটুকু জেনেছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাছের আঁশকে ১৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এই প্রণোদনা পেলে রপ্তানি বাড়বে কয়েক গুণ।'

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment