ইতিহাস বিস্তৃত মেহেরপুরের আমঝুপি!

  • রেজবুল ইসলাম
  • ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮

নীল চাষ ও নীলকরদের দীর্ঘ ইতিহাস মেহেরপুর বুকে জড়িয়ে রেখেছে। ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত জন ফিলিপস্- এর নীলচাষ বিষয়ে রচিত গ্রন্থে বলা হয়েছে যে মশিয়ে লুই বান্নো বা বোনার্দ নামক জনৈক ফরাসী ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রথম নীল চাষ শুরু করেছিলেন। আমঝুপি নীলকুঠি ১৮১৫ সাল অথবা এরও কিছুকাল পরে স্থাপিত হয়েছে। কুঠিবাড়ি ঢোকার প্রবেশ পথের দু পাশের রাস্তার বড় বড় আম গাছগুলো ঝড়ে ভেঙ্গে গেছে। তারপরও কুঠিবাড়ির চারদিকে আমগাছে পরিপূর্ণ। আমঝুপি গ্রামের নামকরণের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও ধারণা করা হয় এ অঞ্চলে আমগাছের সমারোহ এবং ঝোপঝাড়ের আধিক্য থাকায় নাম হয়েছে আমঝুপি। ১৯৭২ সালে তাজ উদ্দিন এখানে আসেন এবং আমঝুপি নামের সার্থকতা রক্ষায় প্রচুর আম গাছ রোপন করেন। তিনি একে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। এ কুঠি স্মৃতি ধরে আছে ইংরেজ কুঠিয়াল কেনি, সিম্পসন, জেমস হীল, ফারগুন ক্রাফোর্ড, ওয়ার্টস, হেমিলটনের অত্যাচার, নির্যাতন আর শোষনের কাহিনীর।

আবাসন ব্যবস্থা : মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজ, পৌর হল, ফিনটাওয়ার আবাসিক হোটেল,মিতা আবাসিক হোটেল, কামাল আবাসিক হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

কিভাবে যাওয়া যায়: মেহেরপুর জেলা সদর থেকে সড়ক পথে দূরত্ব ৭ কি: মি: । বাস, স্থানীয় যান টেম্পু/লছিমন/করিমন এর সাহায্যে ২৫ মি: সময়ে আমঝুপি নীলকুঠিতে পৌঁছানো যায়।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment