ঘুরে আসুন ইলিশের দেশ চাঁদপুর থেকে!

  • রেজবুল ইসলাম 
  • ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮

চাঁদপুরের নাম শোনেনি এ রকম খুব কমই দেখতে পাওয়া যায় । বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের জন্য বিখ্যাত চাঁদপুর। চাঁদপুরকে তাই ‘ইলিশের বাড়ি’ বলা হয়। পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে অবস্থিত চাঁদপুর শহরটি আরো অনেক কারণে প্রসিদ্ধ। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন চাঁদপুর। চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে এ জেলা অবস্থিত। জেলাটি ১৭০৪.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত। বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। এখানে তিনি একটি শাসনকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। ঐতিহাসিক জে এম সেনগুপ্তের মতে, ‘চাঁদরায়’র নামানুসারে এর নাম রাখা হয় চাঁদপুর। অন্যমতে, চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া পুরিন্দপুর মহল্লার ‘চাঁদ ফকির’র নামানুসারে এর নাম রাখা হয়েছে চাঁদপুর। কারো কারো মতে, ‘শাহ আহমেদ চাঁদ’ নামে একজন প্রশাসক দিল্লি থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদীবন্দর স্থাপন করেছিলেন। তার নামানুসারে এখানকার নাম রাখা হয়েছে চাঁদপুর।

দর্শনীয় স্থান :

কচুয়া, শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির, সাচার, কচুয়া, চাঁদপুর : ৭৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট  একতলা মন্দিরটির একটি কক্ষে দেব-দেবীর মূর্তি রাখা হয়েছে। অপর কক্ষে ঠাকুরের অবস্থান। জেলা সদর থেকে বাসযোগে কচুয়া এবং কচুয়া থেকে সিএনজি/অটোরিক্সা/মোটর সাইকেল যোগে সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির যাওযা যায়।

মনসা মুড়া, দোয়াটি, কচুয়া, চাঁদপুর: মাঠের মাঝে ১৩টি বাঁশঝাড় আছে এবং উক্ত ঝাড়ের চতুর্দিকে অনেক সাপের গর্ত রয়েছে। কচুয়া উপজেলার ৪ নং সহদেবপুর ইউনিয়নের দোয়াটি গ্রামে মনসা মুড়া অবস্থিত। জেলা সদর থেকে বাসযোগে কচুয়া এবং কচুয়া থেকে সিএনজি, অটোরিক্সা বা হুন্ডাযোগে দোয়াটি, মনসা মুড়া দেখতে যাওয়া যায়।
 
সাহারপারের দিঘী, রহিমানগর, কচুয়া, চাঁদপুর : কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজার থেকে ৫০০ মিটার দূরে কচুয়া কালিয়াপাড়া সড়ক সংলগ্ন পূর্ব পাশে অবস্থিত ৬১ একর আয়তনের একটি দিঘী।  
 
উজানীতে বেহুলার পাটা, উজানী, কচুয়া, চাঁদপুর, বেহুলা - লক্ষীন্দরের পাটা  রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে। এ শিলাটির একটি খন্ডাংশ বক্তারখাঁর শাহী মসজিদে পশ্চিম পাশে সম্পূর্ণ অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে আছে।
 
তুলাতলী, কচুয়া, চাঁদপুর, সংস্কার বিহীন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে : কচুয়া উপজেলার ৯ নং কড়ইয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামে অবস্থিত। এ মঠ প্রায় শত বছর পূর্বে স্থাপিত হয়ে যা আজও বিদ্যমান রয়েছে। জেলা সদর থেকে বাসযোগে কচুয়া এবং কচুয়া থেকে সিএনজি/অটোরিক্সা/মোটর সাইকেল যোগে তুলাতলী মঠ যাওয়া যায়।
 
ফরিদগঞ্জ, সাহেবগঞ্জ নীল কুঠি, সাহেবগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর : জীর্ণ ও পুরাতন ভবনের ধ্বংসাবশেষ। ফরিদগঞ্জ উপজেলার এই ঐতিহাসিক গ্রামটিতে সাহেবগঞ্জ নীল কুঠিটির জীর্ণ ও পুরাতন ভবনের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। 
 
লোহাগড় মঠ, লোহাগড়, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর : ডাকাতিয়া নদীর কুলে লোহাগড়া গ্রামে এই মঠটির ধ্বংসাবশেষ এখনও বিদ্যমান
 
রূপসা, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর : পুরাতন জমিদার বাড়ী সংস্কার করে বর্তমানে বসবাস উপযোগী করা হয়েছে। গ্রামের নাম রূপসা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সুদীর্ঘ ঐতিহ্যই এ রূপের অহংকার। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারকল্পে তিনি অকৃপণভাবে অনুদান প্রদান করতেন। রূপসার সুপ্রাচীন জামে মসজিদ তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া তিনি আরো অনেক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি/ মোটর সাইকেলযোগে ফরিদগঞ্জ হয়ে রূপসা।
 
হাজীগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর : দোতলার ভবনের কাজ চলছে। বিরল কারম্নকার্য খচিত কর্মকুশলতার অনন্য নিদর্শণ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ মসজিদগুলোর অন্যতম, জুমাতুল বিদার বৃহত্তম জামাতের মসজিদ হিসেবে খ্যাত হজীগঞ্জে এই ঐতিহাসিক জামে মসজিদটি অবস্থিত। 
 
বলাখাল জমিদার বাড়ী, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর : বাড়ীটি সংস্কারবিহীন পরিত্যক্ত অবস্থায় বিদ্যামান। এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ১০০ বছরের পুরাতন। সুরেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী ও দেবেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী তাদের পিতা - যোগেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী ছিলেন বলাখাল এস্টেটের জমিদার। তারা অত্যমত্ম দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। নাসিরকোর্ট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধী স্থল।

নাসিরকোর্ট, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর : শ্বেত পাথরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম খচিত সমাধিস্থল।
 
কিভাবে যাবেন : ঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চে চড়ে যাওয়া যায়। এছাড়া সায়েদাবাদ থেকে বাসযোগে চাঁদপুর যাওয়া যায় এবং কমলাপুর থেকে ট্রেনে লাকসাম নেমে সেখান থেকে চাঁদপুরে যাওয়া যায়। তবে লঞ্চে যাওয়ার মজাই আলাদা।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment