মাধবকুণ্ড ঝর্ণা , প্রকৃতি যেখানে কথা বলে!

  • রেজবুল ইসলাম 
  • ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক জলপ্রপাত হল সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত মাধবকুণ্ড ঝর্ণাটি। বড় পাথরখণ্ড, চারপাশের বনভুমি এবং অঝোর ধারায় বয়ে চলা জলধারার কারনে এই স্থানটি বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান যেখানে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক বেড়াতে ও পিকনিক করতে আসেন। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এবং তৎসংলগ্ন জীব বৈচিত্র্যকে রক্ষার জন্য ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ২৬৭ একর আয়তনের মাধবকুণ্ড ইকো পার্কটি মৌলভীবাজার জেলার অধীন মাধবকুণ্ডে অবস্থিত। প্রায় ২০০ ফুট (৬১) মিটার উঁচু জলপ্রপাতটি এই ইকো পার্কের মূল আকর্ষণ। এখানকার গ্রামে খাসিয়া সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা বসবাস করে এবং বনভুমিতে কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত করে। এটির অবস্হান ২৪° ৩৮’২১”N ৯২° ১৩’১৬E এবং প্রায় ২০০ ফুট (৬১ মিটার) উঁচু।  এটা দাকশিনবাঘ রেল স্টেশন থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে, মৌলভীবাজার জেলা শহর থেকে কুলাউড়া, জুরী, কাঁঠালতলী হয়ে ৭০ কিলোমিটার দূরে এবং ঢাকা শহর থেকে ৩৫০কিমি দূরে।

কিভাবে যাবেন : সিলেট বা মৌলভীবাজার থেকে গাড়িতে যেতে পারেন অথবা কুলাউরা সংযোগস্থল থেকে ট্রেনে যেতে পারেন। যাত্রা পথে দেখতে পাবেন চা বাগানের অপুরুপ সৌন্দর্য।

কোথায় থাকবেন : এখানে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার সুবিধার্থে একটি রেস্টুরেন্ট, রেস্টহাউস ও বসার জন্য কিছু শেড নির্মাণ করে। শীতকালে এখানে শত শত পর্যটকের আগমন ঘটে। আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এখানে পর্যটকের আগমন আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যেভাবে যাবেনঃ সিলেট থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মাধবকুণ্ডতে আপনি ট্রেন, বাস অথবা ব্যাক্তিগত গাড়িতে চড়ে যেতে পারেন। ট্রেনে করে মাধবকুণ্ডতে আসলে আপনাকে কুলাউড়া স্টেশনে নামতে হবে। ট্রেনে ভ্রমন করলে বিভিন্ন শ্রেণী অনুযায়ী আপনার ১৫০/- টাকা থেকে ৫০০/- টাকা পর্যন্ত খরচ পরবে। কুলাউড়া পৌঁছে বড়লেখা উপজেলার ৬-৭ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত মাধবকুণ্ডে যাওয়ার জন্য আপনি ৪০০/- টাকা থেকে ১০০০/- টাকার মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা অথবা গাড়ি ভাড়া করতে পারেন। বাসে চড়ে গেলে আপনাকে মৌলভীবাজার অথবা বড়লেখা পর্যন্ত গিয়ে তারপর সিএনজি অটোরিকশা অথবা গাড়িতে করে মাধবকুণ্ডে পৌছাতে হবে। ইকো পার্কে ঢোকার জন্য আপনাকে প্রবেশ মূল্য দিতে হবে। সড়কপথে কুলাউড়া থেকে মাধবকুণ্ডে যেতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগবে। যাত্রাপথে চারপাশের সবুজ চা বাগান, পাহাড়, পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া আকা বাঁকা পথ আপনার ভ্রমনের আগ্রহকে বাড়িয়ে দেবে বহুগুন। এছাড়া বর্ষাকালে ভ্রমন করলে রাস্তার দুপাশের জমিগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ার কারনে আপনার মনে হবে যেন আপনি নদীর মাঝখান দিয়ে পথ চলছেন। মাধবকুণ্ডে পৌঁছে ২০০ ফুট উঁচু থেকে নেমে আসা পানির অঝোর ধারা আর বিশাল পাথর খণ্ডগুলো আপনাকে নিঃসন্দেহে মোহিত করবে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 
 

Leave a Comment