ঘুরে আসুন জোঁকের অভয়ারণ্য হামহাম থেকে 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • মার্চ ১৪, ২০১৮

হামহাম এর অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্ট। তবে হামহাম যাবার পথে বন্ধুরা খুব সতর্ক থাকতে হবে। কেননা হামহাম যাবার পথ বেশ দুর্গম এবং বর্ষায় এই পথের মাটি বেশ আঠালো। আর এই এলাকা কিন্তু জোঁকের অভয়ারণ্য বলতে পারেন। তবে হামহামের সৌন্দর্যের কাছে এই সকল কষ্ট এক মুহূর্তেই হার মানবে।  কিছুদিন আগেও শহুরে মানুষদের কাছে অনেকটা অজানাই ছিলো এই ঝর্ণা। এই বুনো পথে আপনাকে প্রায় ৩ ঘণ্টা হাঁটতে হবে। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে এই পথটি। ভর দুপুরে গাছের ফাঁক দিয়ে আসা মৃদু আলো এই সৌন্দর্যের সঙ্গী। আর এতো কিছুর পর যখন দেখবেন ১৬০ ফিট ওপর থেকে নেমে আসা জলরাশির সেই অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য তুখন সকলেই কিছুক্ষণের জন্য হয়তো বাকরুদ্ধ হয়ে যাবেন। যেনো বছরের পর বছর ধরে রাখা নিজের যৌবন আপনাদের দেখানোর জন্যই সে অপেক্ষা করছিলো। প্রবল ধারায় উপর থেকে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সঙ্গে চারদিকে হিমশীতল পরিবেশ। এক নাগাড়ে ছোটবড় পাথরের ওপর পড়ে যাচ্ছে ঝরনার পানি। এত তৈরি হচ্ছে এক কুয়াশাময় পরিবেশ।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার যাওয়ার সরাসরি বাস আছে। ভাড়া ৪০০-৪৫০ টাকা। এছাড়া শ্রীমঙ্গল থেকেও যাওয়া যায়। মৌলভীবাজার থেকে যেতে হবে কমলগঞ্জ। সেখান থেকে আদমপুর বাজার, বাস ভাড়া ১৫-২০ টাকা। এখান থেকে ২০০-২৫০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় পৌঁছে যেতে পারেন আদিবাসী বস্তি তৈলংবাড়ি বা কলাবনপাড়ায়। এরপর হাঁটা রাস্তা। প্রায় ৮ কিলোমিটারের মতো পাহাড়ি পথ শেষে হামহাম ঝর্ণার দেখা মিলবে। তবে যেখান থেকেই যাওয়া হোক, কলাবনপাড়ার দিকে অবশ্যই সকালে রওনা হতে হবে।

কোথায় থাকবেন: থাকার ব্যবস্থা বলতে যাওয়ার আগে শ্রীমঙ্গলে এক রাত থেকে পরদিন খুব ভোরে উঠে রওনা দিয়ে সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যার পরে শ্রীমঙ্গল ফিরতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে হামহাম থেকে সন্ধ্যার আগেই কলাবনপাড়ায় ফিরতে হবে।

সাবধানতা :

১. যাওয়ার আগে অবশ্যই কলাবনপাড়ার স্থানীয়দের কাছ থেকে ভালো-মন্দ জেনে যাওয়া উচিৎ। সঙ্গে সরিষার তেল আর লবণ রাখতে হবে। কেননা প্রচুর জোঁকের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এই দুটি ব্যবস্থাই কার্যকরী।

২. হাতে একটা ছোট বাঁশের টুকরা বা লাঠি সঙ্গে নেওয়া ভালো। এতে পাহাড়ি পথে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করা থেকে শুরু করে সাপ বা অন্যান্য বন্যপ্রাণী থেকে নিরাপদ রাখবে।

৩. সঙ্গে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর খাবার স্যালাইন রাখতে ভুলবেন না। জীবাণুনাশক ক্রিম আর তুলা সঙ্গে নেবেন। আর খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। অবশ্যই গাইড নিয়ে যাওয়া উচিত।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment