টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • মার্চ ১৭, ২০১৮

প্রকৃতির নির্মল রসায়নের এক অপরূপ আনন্দধারার দেখা পাবেন সুনামগঞ্জের পাহাড়, নদী আর হাওরের বাঁকে বাঁকে। সবকিছু মিলিয়ে প্রকৃতির একটি অনবদ্য উপন্যাসের শতসহস্র ছন্দের উপকথার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন; টেকেরঘাট, নীলাদ্রি, যাদুকাটা নদী আর বারেকের টিলার প্রকৃতির রূপ ছুঁয়ে ছুঁয়ে।কখনো অভিলাষী হাওরের গন্তব্যহীন যাত্রা, কখনো বা নিভৃত জলরাশির অভিমানী কান্নার মুখশ্রীর প্রতিমূর্তি দেখতে পাবেন নীলাদ্রির শরীর ছুঁয়ে। পাহাড়ি মাদকতা আর ঝর্ণাধারার স্নিগ্ধতা উপভোগ করতে পারবেন টেকেরঘাটের সমগ্র শরীরে। যাদুকাটা নদীর স্বচ্ছ পানির সঙ্গে লাল বালু আর পাহাড়ের অমিত প্রেমের মুগ্ধতা উপভোগ করতে পারবেন বারেকের টিলা থেকে।

কখন যাবেন  : অবশ্যই বর্ষাকালে এবং জোছনা রাতে। এ ছাড়া অতিথি পাখি দেখতে চাইলে শীতকাল উপযুক্ত সময়।

কীভাবে যাবেন: ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে শ্যামলী আর মামুন এন্টারপ্রাইজের বাস সকাল থেকেই নির্দিষ্ট সময় অন্তর রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ সদরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া উত্তরা থেকে রওনা হলে এনা পরিবহনের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ আসতে পারেন। রাতের সাড়ে ১১টার বাসে যাত্রা শুরু করলে ভোর ৫টা-৬টার মধ্যেই আপনি সুনামগঞ্জ পৌঁছে যাবেন। অতিরিক্ত ক্লান্তি থাকলে চার/পাঁচ ঘণ্টার জন্য আশপাশের কোনো হোটেলে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্রাম নিয়ে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, সুনামগঞ্জে ভালো হোটেলের সংখ্যা খুবই কম। অথবা আপনি চাইলে বাস থেকে নেমে, পুরান বাসস্ট্যান্ড থেকে সকালের নাশতা সেরে সরাসরি টাঙ্গুয়ার হাওরের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন। ট্যুর প্ল্যান আপনার অবস্থান আর সাময়িক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment