মক্কা - মদিনায় ১৫ দিন 

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
  • জুন ২২, ২০১৯

ঢাকায় সেহেরি খেয়েছিলাম ৪ টায় । এয়ারপোর্টে গিয়েছিলাম ৬ টায় । দীর্ঘ লাইন। বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশনে গেলাম। সেখানেও দীর্ঘ লাইন। তারপর মসজিদে যেয়ে এহরাম বেঁধে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর এসে বসলাম । কিছুক্ষণ পরেই গেট ওপেন হলো । আমাদের ফ্লাইট ছিল সকাল ১০-১৫ তে। ৪০ মিনিটের মতো লেট হলো । দুবাই যেয়ে ঘণ্টা খানেক বসলাম । এরপর আরেক বিশাল আকৃতির বিমানে সরাসরি জেদ্দা। বেশিরভাগ মানুষই রোজা ছিল। 

এমিরেটস বিমানে খাবারের মান বেশ ভাল মনে হয়েছে আমার। আমাদের ইফতারের প্যাকেট দিয়ে দেয়া হয়েছিল। এয়ারপোর্টে নামতেই দেখি এয়ারপোর্টে আবার সবাইকে ইফতারের প্যাকেট দেয়া হচ্ছে। ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ লাইন ছিল। একটু কষ্টই হলো । কি আর করা। তারপর বেল্টে গিয়ে লাগেজ নিলাম। এক বাঙালি ভাই ছিলেন জেদ্দা এয়ারপোর্টে। সাহায্য করলেন। বেশ আন্তরিক ছিলেন উনি। অনেক দিন ধরে এয়ারপোর্টে আছেন। সিম কিনতে গেলাম। ইফতারের সময় হয়ে যাচ্ছিল। তাই সিম কিনতে পারলাম না। 

এয়ারপোর্টের বাইরে এলাম। কিছু ট্যাক্সি ড্রাইভার দেখা যাচ্ছিল । চেহারা বেশ সন্দেহজনক। পৃথিবীর যে কয়টা এয়ারপোর্টে গিয়েছি বেশিরভাগ ট্যাক্সি ড্রাইভারকেই একটু কেমন জানি মনে হয়েছে আমার। তবে এবার উমরাহ্ তে ভিড় ছিল অনেক বেশি। শহরে কড়াকড়ি ছিল। ট্যাক্সি তাই যেতে চাইল না। মোয়াল্লেমের ঠিক করা বাসেই উঠলাম । 

এর আগে এয়ারপোর্টেই ইফতার করে নিলাম। জুস, পানি, লাবাং, পাউরুটি , কেক, রাইস , চিকেন ছিল। খেজুর ছিল। পাসপোর্ট দিয়ে দিতে হলো বাসে উঠে । ট্যাক্সিতে গেলে পাসপোর্ট দিতে হতনা । কিন্তু কোন ট্যাক্সিই অনেক টাকা নিয়েও যেতে চাইল না। আইন যে সেখানে বেশ কড়া বুঝে গেলাম। বাস ভরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো ।তারপর একসময় ছাড়ল । সুন্দর বিলাসবহুল বাস। আরামদায়ক অনেক । বেশীক্ষণ লাগল না। সুন্দর, প্রশস্ত রাস্তা। ঘণ্টা দুয়েক পরেই পবিত্র নিরাপদ নগরীতে প্রবেশ করলাম। খুবই ভাল লাগছিল। পবিত্র এই নগরীতে মহানবী ছিলেন। অনেক নবী রাসুলের অনেক স্মৃতি বিজড়িত জায়গা। মহান স্রষ্টাকে তাই বারবার ধন্যবাদ দিতে থাকলাম।
 

Leave a Comment