তাঁতের শহর সিরাজগঞ্জ সম্পর্কে পড়ুন 

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ 
  • জুন ১৩, ২০২০

সিরাজগঞ্জ জেলা হলো বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি অঞ্চল, যেটি তাঁতশিল্পের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পরিচিত লাভ করেছে। সিরাজগঞ্জের আয়তন মোট ২,৪৯৭.৯২ বর্গকিমি আর মোট জনসংখ্যা ২৯,৪৪,০৮০ জন, জনসংখ্যার ঘনত্ব ১,২০০/বর্গকিমি। জেলাটির সাক্ষরতার হার মোট ৬৮%। সিরাজগঞ্জ জেলার দক্ষিণে পাবনা, উত্তরে বগুড়া, পূর্বে টাঙ্গাইল ও জামালপুর, পশ্চিমে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলা অবস্থিত। সিরাজগঞ্জের জেলাটি ৯টি উপজেলায় বিভক্ত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু এবং সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের অপূর্ব সৌন্দর্য এ জেলাকে পর্যটনসমৃদ্ধ জেলার খ্যাতি এনে দিয়েছে, যা দেখার প্রখর আগ্রহ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে। তাছাড়াও সিরাজগঞ্জে রয়েছে শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র কাঁচারিবাড়ি, এনায়েতপূর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল,বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ইকোপার্ক, বাঘাবাড়ি বার্জ মাউনন্টেড বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্র, বাঘাবাড়ি নদী বন্দর,বাঘাবাড়ি প্যারামাউন্ট বাংলা ট্রাক এনার্জি কনসোর্টিয়াম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এসকল বিখ্যাত স্থাপত্য ও শৈল্পকর্মের নিদর্শন এ জেলাকে সমৃদ্ধতর করে তুলেছে।

সিরাজগঞ্জ জেলাটি যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এবং ঢাকা শহর হতে প্রায় ১১০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। জেলাটি ১৫টি ওয়ার্ড এবং ৫২টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী এর জনসংখ্যা ১২,৭১৪। সিরাজগঞ্জ শহরটিকে কলকাতা ও নারায়ণগঞ্জের সমতুল্য পাট ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে গণ্য করা হতো। বর্তমানে এটি পাট ব্যবসার একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখানের পাটকলগুলো তদানীন্তন বাংলা প্রদেশের প্রথম পর্যায়ের পাটকলের মধ্যে পড়ে।

তথ্যঃ গুগল
লিখাঃ সাজিদ
 

Leave a Comment