কৃষিনির্ভরশীল জেলা লক্ষ্মীপুর সম্পর্কে পড়ুন 

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
  • জুন ১৫, ২০২০

চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যতম একটি জেলা লক্ষ্মীপুর । লক্ষ্মীপুর জেলার মোট আয়তন ১৩৬৭.৫৯ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১৭,২৯,১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৬৬,৮৬৮ জন এবং মহিলা ৮,৬২,৩২০ জন।

ধর্মবিশ্বাস অনুসারে জেলাটির মোট জনসংখ্যার ৯৫.৩১% মুসলিম, ৪.৬৬% হিন্দু এবং ০.০৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। লক্ষ্মীপুর নামে সর্বপ্রথম থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬০ সালে। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, লক্ষ্মী নারায়ণ রায় বা লক্ষ্মী প্রিয়ার নাম অনুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয়। তারপর ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ৫নং বাঞ্চানগর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর মহকুমা এবং একই এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় লক্ষ্মীপুর জেলা।

রাজধানী ঢাকা থেকে লক্ষীপুর জেলার দূরত্ব প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার। জেলাটির উত্তরে চাঁদপুর জেলা; পূর্বে ও দক্ষিণে নোয়াখালী জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, ভোলা জেলা ও বরিশাল জেলা অবস্থিত। লক্ষ্মীপুর শহর রহমতখালি নদীর তীরে অবস্থিত।

লক্ষ্মীপুর জেলার সাক্ষরতার হার ৪২.৯০%। এ জেলায় রয়েছে: কামিল মাদ্রাসা : ৮টি, আইন কলেজ : ১টি,হোমিও কলেজ : ১টি,ফাজিল মাদ্রাসা : ১৯টি,কলেজ : ২৮টি (৫টি সরকারি),আলিম মাদ্রাসা : ২২টি,স্কুল এন্ড কলেজ : ৪টি,দাখিল মাদ্রাসা : ৮৫টি,মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ১৫৭টি (৩টি সরকারি),কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ৪টি,ভোকেশনাল,টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট : ১টি,নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ১৪টি,প্রাথমিক বিদ্যালয় : ৯৪৯টি,এবতেদায়ী মাদ্রাসা : ৬১টি।

কৃষিনির্ভরশীল জেলা লক্ষীপুর। লক্ষ্মীপুর জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। জেলার প্রধান উৎপাদিত ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে ধান, গম, সরিষা, পাট, মরিচ, আলু, ডাল, ভুট্টা, সয়াবিন, আখ, চীনাবাদাম। প্রধান ফলগুলো হল আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, তাল, লেবু, নারিকেল, সুপারি, আমড়া, জাম। এছাড়া এ জেলায় ৫৮টি মৎস্যখামার, ১৬টি নার্সারি, ১০২টি দুগ্ধ খামার, ২২২টি মুরগীর খামার ও ৩টি হ্যাচারি রয়েছে।

লক্ষীপুর জেলার প্রধান রপ্তানি পণ্যর মধ্যে হলো নারিকেল, মাছ, মরিচ, কাঠ বাদাম, সুপারি, সয়াবিন।

লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান প্রধান শিল্প-কারখানার মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল মিল, ধানের কল, ময়দার কল, বরফের কল, অ্যালুমিনিয়াম কারখানা, বিড়ি কারখানা, মোম কারখানা, সাবানের কারখানা, নারিকেলের তন্তু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, ছাপাখানা, তেলের মিল, ব্যাটারি কারখানা, বেকারি।

লক্ষীপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা : লক্ষ্মীপুর জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক। লক্ষীপুর জেলার সাথে সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। বাঁশ ও বেতের কাজ, কাঠের কাজ, সেলাই, কামার, কুমার, মুচি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির মেকানিক ইত্যাদি।

নদ-নদীর দিক থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান নদীগুলো হল মেঘনা নদী, ডাকাতিয়া নদী, কাটাখালী নদী, রহমতখালি নদী চন্দনা ও ভুলুয়া নদী।

তথ্যঃ গুগল
লিখাঃ সাজিদ
 

Leave a Comment