সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার টাঙ্গুয়ার হাওর সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন 

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
  • জুন ২১, ২০২০

টাঙ্গুয়ার হাওর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি হাওর। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হওয়ায় এ হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি হিসেবে পরিচিত। এটি-ই বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার স্থান, প্রথমটি সুন্দরবন। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টির বেশি ঝড়না এসে মিশেছে এই হাওরে।

শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে কমে গেলে এখানকার প্রায় ২৪টি বিলের পাড় জেগে উঠলে স্থানীয় কৃষকেরা ঐখানে রবিশস্য ও বোরো ধানের আবাদ করেন। এ হাওরে হরেক রকমের উদ্ভিদ প্রাণীর দেখা মিলে। গাছপালা, পাখি আর হাওরের একত্রিত সৌন্দর্য মিলে এ টাঙ্গুয়ার হাওরকে এনে দিয়েছে এক অপরুপ প্রাকৃতিক রুপ। যা দেখে দেখে মানবজাতির মন প্রাণ জুড়িয়ে দিতে বাধ্য।

টাঙ্গুয়ার হাওরে দেখা মিলে এমন উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছেঃ হিজল, করচ, বরুণ, পানিফল, হেলেঞ্চা, বনতুলসী, নলখাগড়া, বল্লুয়া, চাল্লিয়া, সিংড়া, শালুক, শাপলা, গুইজ্জাকাঁটা, উকল ইত্যাদি। টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছের দেখা মিলার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২০ প্রজাতির সাপ, বিরল প্রজাতির উভচর, ৪ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটিসহ নানাবিধ প্রাণীর উপস্থিতি এই হাওরের জীববৈচিত্র্যকে করেছে ভরপুর।

বিলুপ্তপ্রায় কাছিমের সংখ্যাও রয়েছে স্বল্প পরিমাণে। তার মধ্যে রয়েছে হলুদ কাছিম, কড়ি কাইট্টা ও পুরা কাইট্টা। টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্যের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। এখানে বিভিন্ন সময়ে অনেক অতিথি পাখির দেখা মিলে। স্থানীয় জাতের পাখি ছাড়াও শীতকালে বিশেষ আকর্ষণ সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিযায়ী পাখিরও আবাস পাওয়া যায় এই হাওরে। ২০১৯ সালের পাখিশুমারি অনুযায়ী হাওর ও এর আশপাশের এলাকায় ২০৮ প্রজাতির পাখি দেখা গিয়েছে।

তথ্যঃ গুগল
লিখাঃ সাজিদ

Leave a Comment