নওগাঁ জেলা

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ 
  • জুলাই ৪, ২০২০

নওগাঁ জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমারেখা সংলগ্ন যে ভূখণ্ডটি ১৯৮৪-র পহেলা মার্চের পূর্ব পর্যন্ত নওগাঁ মহকুমা হিসেবে গণ্য হত সেটাই এখন হয়েছে বর্তমান বাংলাদেশের নওগাঁ জেলা। নওগা জেলার আয়তন মোট ৩,৪৩৫.৬৭ বর্গকিমি।

আর এ জেলার জনসংখ্যা মোট২৬,০০,১৫৮ জন। জনঘনত্ব ৭৬০/বর্গকিমি। জেলাটির সাক্ষরতার হার মোট ৬২.৫২। (২০১১ পরিসংখ্যান অনুুযায়ী)। নওগার মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮৬.৫৫% , হিন্দু ১১.০৮%, খ্রিস্টান ০.৭১% ও অন্যান্য ১.৬৬%।

নওগার উত্তরে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর, দক্ষিণে বাংলাদেশের নাটোর ও রাজশাহী জেলা, পূর্বে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের মালদহ ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা।

আরো পড়ুন :  মেহেরপুর

নওগা জেলার পূর্বভাগে ছোট যমুনা এই জেলার প্রধান নদী। যমুনাও মূলত তিস্তা নদীরই একটি শাখা। নওগাঁ আগে ছিল রাজশাহী জেলার অন্তর্গত। কালক্রমে এলাকাটি গ্রাম থেকে থানা এবং থানা থেকে মহকুমায় রুপান্তরিত হয়েছে। নওগা জেলাটি ১৯৮৪ এর ১ মার্চ- এ নওগাঁ মহকুমা ১১টি উপজেলা নিয়ে জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়। 

"নও" এবং "গা" এই শব্দ দু’টির অর্থ হলো নতুন গ্রাম। অসংখ্য ছোট ছোট নদীর লীলাক্ষেত্র হলো এ অঞ্চল। আত্রাই নদী তীরবর্তী এলাকায় নদী বন্দর এলাকা ঘিরে নতুন যে গ্রাম গড়ে উঠে , কালক্রমে তা-ই নওগাঁ শহর এবং সবশেষে নওগাঁ জেলায় রুপান্তরিত হয়।

নওগা জেলার জনসংখ্যার অধিকাংশ মানুষ ই কৃষিনির্ভর। প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের এই জেলার অধিকাংশই কৃষক। এই জেলায় উৎপাদিত প্রধান ফসলসমূহের মধ্যে রয়েছে: ধান, পাট, গম, সরিষা, আখ, ভুট্টা, আলু, বেগুন, রসুন, তেল বীজ এবং পেঁয়াজ। এছাড়াও নানা ধরনের মৌসুমি ফল ও ফসল উৎপাদন হয় এই জেলায়।

নওগাঁ জেলা চাল ও সন্দেশ এর জন্য বিখ্যাত, তাছাড়াও কসুম্বা মসজিদ ও রঘুনাথ মন্দির এই দুটি স্থানের জন্য বিখ্যাত। জেলাটি দ্বারা দেশের অর্থনীতির উপর বেশ ভালো প্রভাব পরে। আর বিভিন্ন খাতেও দেশটির অবদান রয়েছে।

তথ্যঃ গুগল
লিখাঃ সাজিদ

Leave a Comment