পটুয়াখালী জেলা

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ 
  • জুলাই ১৯, ২০২০

পটুয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পটুয়াখালী শহরের বয়স প্রায় দেড়'শ বছর। পটুয়াখালী জেলার উত্তরে বরিশাল জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পুর্বে ভোলা জেলা এবং পশ্চিমে বরগুনা জেলা অবস্থিত। পটুয়াখালী জেলা ৮টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৭৪টি ইউনিয়ন ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।

জেলাটির আয়তন মোট ৩,২২১.৩১ বর্গকিমি আর জনসংখ্যা মোট ১৫,৩৫,৮৫৪ এবং জেলার জনঘনত্ব ৪৮০/বর্গকিমি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পটুয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ১৫,৩৫,৮৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭,৫৩,৪৪১ জন এবং মহিলা ৭,৮২,৪১৩ জন। মোট পরিবার ৩,৪৬,৪৬২টি। পটুয়াখালীর সাক্ষরতার হার মোট ৬৫%। 

পটুয়াখালী জেলাতে অনেক রকমের ফল উৎপাদিত হয়। আর এ সকল ফল সারা দেশে বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করা হয়। তবে উৎপাদিত ফলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু রয়েছে।

আরো পড়ুন :  খুলনা জেলার আরেকটি নাম হলো জাহানাবাদ! পড়ুন বিস্তারিত 

যেমনঃআম,তরমুজ,কাঁঠাল,পেয়ারা,জাম,পেঁপে,কলা,লিচু,লেবু,আনারস,বাদাম,নারিকেল, কমলালেবু। তাছাড়া পটুয়াখালী জেলা মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। পটুয়াখালী জেলার খাল-বিল, পুকুর, নালা গুলো মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার নদী মোহনাগুলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত।

পটুয়াখালীতে ব্যবসা-বাণিজ্য দিন দিন বিকশিত হচ্ছে। এখানে রয়েছে অটো রাইস মিল, রাইস মিল, ইট ভাটা, বিস্কুট ফ্যাক্টরী, সিনেমা হল, ফিলিং স্টেশন, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান।
পটুয়াখালী জেলাতে বনাঞ্চল বেশি নেই। তবে দেখার মতো কিছু স্থান রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান,কুয়াকাটা ইকোপার্ক,শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি,মহেন্দ্র রায়ের,জমিদার বাড়ি,কানাই বলাই দিঘী,কাজলার চর,ফাতরার চর,কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। তার মধ্যে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দেখার জন্যে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পটুয়াখালীর মাটিতে ভিড় জমায় পর্যটকরা।

তথ্যঃ গুগল
লিখাঃ সাজিদ

Leave a Comment