বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়া জেলা সম্পর্কে জানুন!

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
  • জুলাই ২৫, ২০২০

কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়ে থাকে। আয়তন মোট ১,৬২১.১৫ বর্গকিমি, জনসংখ্যা মোট ২৩,৬৬,৮১১,জনঘনত্ব ১,৫০০/বর্গকিমি এবং সাক্ষরতার হার মোট ৮৬.৩৭%।

কুষ্টিয়া জেলার জনসংখ্যা আছে ২৩,৬৬,৮১১ জন, যার মধ্যে ৫০.৮৬% পুরুষ ও ৪৯.১৪% মহিলা। জনসংখ্যার ৯৫.৭২% মুসলিম, ৪.২২% হিন্দু ও ০.০৬% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,

যেটি বাংলাদেশে কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। কুষ্টিয়া জেলা ৬টি উপজেলা, ৭টি থানা,৫টি পৌরসভা, ৫৭টি ওয়ার্ড, ৭০টি মহল্লা, ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৭১০টি মৌজা ও ৯৭৮টি গ্রামে বিভক্ত।

কুষ্টিয়া জেলার উত্তরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা, পূর্বে রাজবাড়ী এবং পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা অবস্থিত । কুষ্টিয়া জেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রধান নদীগুলোর মধ্যে পদ্মা, গড়াই নদী, মাথাভাঙ্গা, কালীগঙ্গা ও কুমার নদী অন্যতম।

বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা অঞ্চলের মত কুষ্টিয়াতেও প্রধানত ধান, পাট, আখ, ডাল, তৈলবীজ ইত্যাদি চাষ করা হয়। তবে জেলাটিতে চাষের ভিন্নতা৷ রয়েছে তামাক ও পানের চাষের দিক থেকে।

আরো পড়ুন :  ধানসিঁড়ি নদীর জেলা ঝালকাঠি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

কৃষি ছাড়াও কুষ্টিয়ায় ব্যাপক পরিমাণে শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশের বড় বড় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। কুষ্টিয়ায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা রয়েছে-

বৃহৎ শিল্প - ১২০ টি,মাঝারী শিল্প -২৩০ টি,ক্ষুদ্র শিল্প - ৬২০১২ টি,কুটির শিল্প - ২১৮৩৭ টি। কুষ্টিয়া জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে পদ্মা নদী, মাথাভাঙ্গা নদী, কুমার নদ, কালীগঙ্গা নদী, গড়াই নদী ও ডাকুয়া খাল নদী,সাগরখালী নদী।

যেগুলো কুষ্টিয়ার অর্থনীতি বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাবসৃষ্টিকারী অন্যতম একটি জেলা।

তথ্যঃগুগল

Leave a Comment