চমচমের জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত রাজবাড়ী জেলা!

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
  • সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০

রাজবাড়ী জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। নাটোরের রাজার জমিদারীর চিহ্ন হিসেবে রাজবাড়ী জেলার বেলগাছিতে রয়েছে স্নানমঞ্চ, দোলমঞ্চ। এর পরবর্তীতে জেলাটি এক সময় যশোর জেলার অংশ ছিল।

১৮১১ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে রাজবাড়ীকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ জেলার আয়তন মোট ১,১১৮.৮০ বর্গকিমি এবং জেলাটির জনসংখ্যা মোট ১০,১৫,৫১৯। জেলাটির জনঘনত্ব ৯১০/বর্গকিমি এবং জেলার সাক্ষরতার হার মোট ৪৮.৪১ %। রাজবাড়ী জেলায় সর্বমোট ৪২টি ইউনিয়ন, ৩ টি পৌরসভা ও ৫টি উপজেলা রয়েছে।

রাজবাড়ী জেলার উত্তরে পদ্মা নদী, পশ্চিম থেকে পূর্বে পদ্মা ও যমুনার সঙ্গমস্থল দৌলতদিয়ার সামান্য উত্তরে আরিচা ঘাট। পূর্বের পদ্মার অপর পারে পাবনা ও মানিকগঞ্জ। দক্ষিণে পদ্মার শাখা নদী গড়াই নদী, গড়াই-এর ওপারে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলা। পূর্বে ফরিদপুর ও পশ্চিমে কুষ্টিয়া। রাজবাড়ী জেলাকে ঘিরে কয়েকটি নদী প্রবাহিত হচ্ছে আর সেগুলো হলো পদ্মা, চন্দনা, গড়াই নদী ও হড়াই নদী, কুমার নদী ও চিত্রা নদী।

রাজবাড়ি জেলার অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। জেলাটিতে ধান, পাট, আখ, গম, বাদাম, তিল, যব, ভুট্টা, ইক্ষু, পিঁয়াজ, তামাক এবং ডাল জাতীয় কৃষিজাত পণ্য উৎপাদিত হয় তাছাড়া কলা এবং মাছ চাষ করা হয়।তাছাড়া রাজবাড়ী জেলা চমচমের জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত। জেলাটি শিল্পে সমৃদ্ধ না হলেও অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে।

অন্যান্য জেলার মতো রাজবাড়ী জেলাতেও কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তবে এগুলো অন্য জেলার স্থানগুলোর মতো এখনও ততো পরিচিত হয়ে উঠতে পারেনি। স্থানগুলো হলো রথখোলা সানমঞ্চ - বেলগাছি; নীলকুঠি; মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র - পদমদী; দৌলতদিয়া ঘাট; চাঁদ সওদাগরের ঢিবি; কল্যাণদিঘি। তাছাড়াও আরো কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে রাজবাড়ী জেলাতে যেগুলো দর্শনের খোজে প্রায়ই দর্শনার্থীরা পা রাখে রাজবাড়ীর মাটিতে।

তথ্যঃ গুগল

Leave a Comment