উৎমাছড়া

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
  • নভেম্বর ৮, ২০২০

উৎমাছড়া সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে অবস্থিত। উৎমাছড়া মূলত বিছানাকান্দির প্রতিরূপ। উৎমাছড়া এর চারপাশে সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের প্রলেপ, গাছপালা আর ঝোপঝাড় দিয়ে ভরা। পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে চলেছে শীতল স্বচ্ছ ঠান্ডা পানির ঝর্ণা। ভারতীয় মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা সিলেটের সীমান্তে এক নদ রয়েছে যার নাম ধলাই।

মেঘালয় পাহাড়ের ঝরনার পানি ই এই ধলাই নদের জলপ্রবাহের উৎস। ধলাই নদের উৎসমুখই হচ্ছে সাদাপাথরের রাজ্য। উচু সব পাহাড়ি ঢলের উৎসমুখে পাঁচ একর জায়গা জুড়ে দেখা যায় পলির মতো করে পাথরের স্তূপ। আর এই সব পাথর ই সাদা সাদা পাথর। রূপ-লাবণ্যে যৌবনা উৎমাছড়া পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে সম্মোহনী সৌন্দর্য্য। সর্বত্র রয়েছে সারি সারি পাহাড়। পাহাড়ের বুকে গাছপালার গাঢ় সবুজের আস্তরণ। সবকিছু মিলেমিশে প্রকৃতির অপার এক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি হচ্ছে উৎমাছড়া।

আরো পড়ুনঃ চিকেন পাকোড়া

উৎমাছড়াতে পাথর ছড়ানো সর্বত্র। উৎমাছড়া দেখা মিলে আকাশে নীলের ছায়া। আর ঐ স্থানকে সিলেটের নতুন ‘বিছনাকান্দি’ বলে হয়, আর ইতিমধ্যেই এই বিছানাকান্দি ভ্রমণে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায়। উৎমাছড়া বা বিছানাকান্দির সৌন্দর্য্যটা আসলে বর্ষাকালেই বেশি উপভোগ করা যায়। মূলত বর্ষার সময়ে উৎমাছড়ার সৌন্দর্য্য সবচেয়ে বেশি ধরা দেয়। অন্যান্য মৌসুমে উতমাছড়াকে মরুভূমির বুকে গজিয়ে ওঠা উদ্যানের মতো মনে হয়।

যে কোনো দিকে তাকালেই শুধু পাথর আর পাথর দেখা যায়। উৎমাছড়া যেতে সিলেট মহানগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সরাসরি সিএনজি অটোরিকশাযোগে যেতে হবে ৩৫ কিলোমিটার দূরবর্তী দয়ারবাজারে। সড়কের অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় এ পরিমাণ সড়ক পাড়ি দিতে ভাড়া হয় জনপ্রতি ১৫০-১৮০ টাকা করে। দয়ারবাজার থেকে আবার সিএনজি অটোরিকশাযোগে আট কিলোমিটার দূরবর্তী চড়ারবাজারে যেতে হয়। এজন্য জনপ্রতি ভাড়া ২৫-৩০ টাকা পড়বে। চড়ারবাজার থেকে ১৫ মিনিটের মতো হাঁটলেই পাওয়া যায় অপরুপ সেই উৎমাছড়ার দেখা। অথবা বিছনাকান্দি থেকে হেটে সীমান্ত ধরে পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে গেলেও উৎমাছড়ায় যাওয়া যাবে। সময় লাগবে ৩ঘন্টা।

আরো পড়ুনঃ স্পাইসি চিকেন রোল

তথ্যঃ গুগল

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment