ভারতের দার্জিলিংয়ের একটি গ্রাম দাওয়াইপানি!

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
  • মার্চ ২১, ২০২১

দাওয়াইপানি ভারতের দার্জিলিংয়ের একটি গ্রাম যেটি ইতিমধ্যেই অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দার্জিলিংয়ের কাছে ৬৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এক অদ্ভুত সুন্দর গ্রাম, যেখানের প্রতিটি বাঁকে, প্রতিটি বাড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার হাতছানি রয়েছে। দাওয়াইপানি নিরিবিলি একটা পাহাড়ি গ্রাম। পর্যটকদের কাছে একটু অফবিট ঠিকই কিন্তু যাঁরা প্রকৃতি ভালোবাসে, তাঁদের কাছে এই দাওয়াইপানি স্বর্গরাজ্য।

আরো পড়ুনঃ ঘুম নিয়ে সমস্যা? দ্রুত ঘুম আসার উপায় জেনে নিন!

দাওয়াইপানিতে সারা বছরই ঠান্ডা থাকে। বর্ষার সময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে না যাওয়াই ভালো। বছরের অন্য যে কোনো সময়ে এই গ্রামটিতে হারিয়ে যাওয়া যায়। দার্জিলিং এর টাইগার হিলের উল্টোদিকে এবং দার্জিলিং শহর থেকে দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে ঘেরা গ্রাম দাওয়াইপানি। দাওয়াইপানি থেকে দেখা যায় দার্জিলিং শহরের সম্পূর্ণ সৌন্দর্য । সূর্য ডুবলে দার্জিলিং-এর দিকে তাকালে, মনে হয় যেন দীপাবলি চলছে। দাওয়াইপানি থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য আসাধারণভাবে উপভোগ করা যায়।

যাঁরা পাখি ভালোবাসে, জানা-অজানা বিচিত্র সব পাখি দেখে দিন কাটিয়ে দেয়া যায় অনায়াসে দাওয়াইপানির মাটিতে। ফটোগ্রাফির জন্যও আদর্শ এই জায়গাটি। যদিও খুব অল্প কিছুদিন হলো পরিচিতির আলো পেয়েছে। আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে তবে তো দাওয়াইপানি তুলনাহীন। পাহাড়ের অনেকটা দূর পর্যন্ত যেন গড়িয়ে নেমে গিয়েছে গাড়ি চলার একমাত্র রাস্তা। রাস্তার ধারেই যাবতীয় বাড়িঘর, প্রাইমারি স্কুল ইত্যাদি। নীচের দিকে ধাপে ধাপে চাষের জমি। ইতিউতি ঝাড়ু গাছের ঝোপ। ব্যস্ত ঘোরাঘুরি নয়, চুপচাপ নির্জনে প্রকৃতির রূপসুধা পানে মন হলে দাওয়াইপানি চলে যাওয়া যায়।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের যে রংবাহারি শোভা দেখা যায় বরফাবৃত হিমালয়ের বুকে, তা সহজে ভুলতে পারা যায় না। সম্প্রতি অনেকগুলি হোম স্টে তৈরি হয়েছে মূল রাস্তার গায়ে। গ্রামের মানুষের সহজ সরল মিশুকে স্বভাব ও তুলনাহীন অতিথিপরায়ণ মনের পরিচয় পেয়ে ভ্রমণ অন্য মাধুর্যে ভরে উঠবে। হিমালয়ের চেনা-অচেনা পাখি দেখায় মন হলে তো সোনায় সোহাগা। কয়েকটি মনোরম নেচার ট্রেল রয়েছে গ্রামের আশেপাশে। হোম স্টে-র সদস্যরাই আধবেলার পদযাত্রায় আপনার গাইড হবেন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে ৬ টি খাবার খাওয়া অবশ্যই বাদ দিবেন

কুয়াশায় ঘেরা পাহাড়, জঙ্গলের অজানা-অচেনা গাছপালা – সব নিয়ে জায়গাটি অনবদ্য। দাওয়াইপানির আশেপাশে বিখ্যাত কয়েকটি চা বাগিচা রয়েছে – যেমন গ্লেনবার্ন, লামাহাট্টা, তাকদা চা বাগান।। বাগান থেকে চা তোলা কিংবা প্রক্রিয়াকরণ দেখতে পাওয়া যায় সরাসরি। কলকাতা থেকে ট্রেনে যেতে চাইলে হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছতে হবে। এনজেপি বা শিলিগুড়ি থেকে দাওয়াইপানির দূরত্ব ৮১ কিমি ও জোরবাংলো থেকে ১৫ কিমি। খরচ কমিয়ে গেলে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং গামী শেয়ার জিপে জোরবাংলো এসে সেখান থেকে গাড়িতে চলা যায় দাওয়াইপানি।

তথ্যঃ গুগল

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment