কন্যাকুমারী সম্পর্কে বিস্তারিত

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
  • মার্চ ২১, ২০২১

ভারতের উল্লেখযোগ্য কিছু দর্শনীয় স্থানের কথা বললে তাদের মধ্যে সেরা কয়েকটিকে আবার আলাদা করলে কন্যাকুমারী থাকবেই সেই সেরার লিস্ট এ। কন্যাকুমারী হলো ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কন্যাকুমারী জেলার অন্তর্গত একটি শহর। এই শহরটি ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দুতে অবস্থিত। ভারতের পশ্চিম উপকূল ধরে প্রসারিত পশ্চিমঘাট পর্বতমালার এলাচ পর্বতশ্রেণীর দক্ষিণতম প্রান্তে অবস্থিত অপরুপ কন্যাকুমারী।

কন্যাকুমারী জেলার সদর শহর নাগেরকেইল এই শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কন্যাকুমারী একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রাচীনকালেও কন্যাকুমারী ছিল তামিলাকাম বা প্রাচীন তামিল দেশের দক্ষিণতম অঞ্চল। যখন এই স্থানপর নামকরণ নিয়ে কথা বলা হয়েছিল তখন জানা যায় কন্যাকুমারী নামটি এসেছে হিন্দু দেবী কন্যাকুমারীর নামানুসারে।

আরো পড়ুনঃ স্বামী ও স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত ?

এই শহরের সৈকত অঞ্চলে যেখানে আরব সাগর, ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর পরস্পর মিলিত হয়েছে, সেখানেই দেবী কুমারীর মন্দির অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, কন্যাকুমারীর কিছু দূরেই অগস্থে্স্বরম নামে একটি গ্রাম ছিল। তবে এখন এটি একটি আশ্রমে পরিণত হয়েছে। প্রায় পর্যটকেরাই এখন সেই পাহাড়ে উঠে আশ্রমে যান, কারণ সেখান থেকেই পরিষ্কার দেখা যায় কন্যাকুমারী মন্দিরটি।

এই শহরের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলি হল দেবী কুমারীর মন্দির, বিবেকানন্দ মেমোরিয়াল- ১৮৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বামী বিবেকানন্দ এই শিলাখণ্ডের উপর বসে দীর্ঘক্ষণ ধ্যান করেছিলেন। ২০০৪ সালে এই অঞ্চলে ভারত মহাসাগরের একটি সুনামি এখানে আঘাত হানে এবং শত শত লোক জলোচ্ছ্বাসে হারিয়ে যায়।

তথ্যঃগুগল

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment