জানেন কি বায়ুদূষণ করছে শ্যাম্পু ও ডিওডোরেন্ট!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • মে ২৪, ২০১৮

আপনার ব্যবহূত শ্যাম্পু, ডিওডোরেন্ট ও লোশন প্রতিনিয়তই অংশ নিচ্ছে শহরের বায়ুদূষণে। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রসাধনীতে সিলোক্সেন নামক একটি উপাদান ব্যবহূত হয়, যা গাড়ির কালো ধোঁয়ার মতোই বাতাসের বিশুদ্ধতা নষ্ট করে। আমেরিকান বৈজ্ঞানিক সংস্থা ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আর্থ সিস্টেম রিসার্চ ল্যাবরেটরি ও কো-অপারেটিভ ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের (সিআইআরইএস) বিজ্ঞানীদের পরিচালিত এক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি জার্নালে।

এতে জানা যায়, মানুষের ব্যক্তিগত ব্যবহূত পণ্যগুলোও বাতাসকে দূষিত করতে পারে। সিআইআরইএসের তথ্য অনুযায়ী, নমনীয়তার জন্য লোশন ও শ্যাম্পুতে সিলোক্সেন নামক ভলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড (ভিওসি) ব্যবহূত হয়। তবে এগুলো চুল বা ত্বকে ব্যবহারের পর বাষ্পীভূত হয়। বাতাসে মিশে যাওয়ার পর সূর্যালোকের প্রভাবে এসব ভিওসি নাইট্রোজেন অক্সাইডসহ অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। ঠিক একইভাবে গাড়ির নির্গমন থেকেও বাতাসে মেশে বেনজিন নামক উপাদান।

বিজ্ঞানীরা অনুধাবন করেন, এ দুটো উপাদানই বাতাস দূষণে ভূমিকা রাখে। ব্যক্তিগত প্রসাধনী ব্যবহারের পর যখন ব্যক্তি বাস বা অন্য মোটর যানবাহনে করে বাইরে বের হয়, তখন একই সঙ্গে চুল ও ত্বকে ব্যবহূত প্রসাধনী থেকে সিলোক্সেন নির্গত হয়, যেমনটি গাড়ি থেকে নির্গত হয় বেনজিন।

সিআইআরইএসের বিজ্ঞানী ও গবেষণার প্রধান লেখক ম্যাথু কোগন বলেন, উত্তর কলোরাডোর শহর বোল্ডারের ক্ষেত্রে আমরা অনুমান করেছি, প্রতিদিন ৩-৫ কিলোগ্রাম সিলোক্সেন নির্গত হয়। অন্যদিকে বেনজিন নির্গত হয় ১৫ কিলোগ্রাম। সেক্ষেত্রে বলা যায় সিলোক্সেন বায়ুদূষণে তিন থেকে পাঁচ গুণ কম ভূমিকা রাখে বেনজিনের চেয়ে। তবে তিনি যোগ করেন, শহর বা স্থানের পরিবর্তনে এ উপাদানগুলোর পরিমাণের তারতম্য হতে পারে।

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment