কখন আপনার চাকরি পরিবর্তন করা উচিত?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ২০, ২০১৮

সমাজে নিজের অবস্থান, কর্ম সবার জন্যই অপরিহার্য। মানে সবাই চেষ্টা করে ভালো একটা জব করার। কিন্তু কাজ করে যদি শান্তি পাওয়া না যায় তবে সে কাজ খুবউ কষ্ট মনে হয়। চাকরি ছেড়ে দেবেন কি দেবেন না  এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে পারেন।

১।সবচেয়ে স্পষ্ট সাইন হল, কাজ করতে গিয়ে যদি বুঝেন আপনি আর আপনার কাজ এনজয় করছেন না। এই সহজ বিষয়টি বুঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই। কাজের বেশির ভাগ সময় যদি আপনার নিজেকে বোর্ড, ডিপ্রেসড বা বিরক্ত মনে হয়, সেটি কোনভাবেই আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভাল না।

২।জীবনে টাকাই সবকিছু না। কিন্তু মাস শেষে সবাইকেই নিজের বিল পে করতে হয়।তাছাড়া আপনার কাজ ও পরিশ্রমের যথাযথ প্রতিদান পাওয়ার অধিকার আপনার আছে। দীর্ঘমেয়াদে তা আপনার মোটিভেশনে প্রভাব ফেলবে। নিজেকে আন্ডারপেইড মনে হলে অবশ্যই কাজ করার স্পৃহা কমে যাবে।

৩।নিজের সকল মেধা, শ্রম ও চেষ্টা দিয়ে ভাল কাজ করে যাওয়ার পরও যদি তার স্বীকৃতি না পান তা খুবই দুঃখজনক। ভাল কাজের প্রশংসা না পেলে আপনি হয়ত ভাবতে শুরু করবেন আপনি কি আদৌ আপনার কাজের সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন?এটি শুধু আপনাকে ডিমোটিভেটই করবেন না, আপনাকে চিন্তিত করে তুলবে যে আপনার ভবিষ্যতে হয়ত কোন প্রোমোশনের সম্ভাবনা নেই।

৪। আপনি যদি দেখেন আপনার ক্যারিয়ার গ্রোথ অত্যন্ত ধীর গতিতে এগোচ্ছে বা একেবারেই স্থগিত, তবে আপনার কর্মক্ষেত্র নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন। যদি আপনার বর্তমান কর্মক্ষেত্রে কোন চ্যালেঞ্জ বা নতুন সুযোগ না থাকে, তবে অন্য অপশনের কথা ভাবুন যা আপনার পারসোনাল ও ক্যারিয়ার গ্রোথ উভয়কে সাহায্য করবে।

৫সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বিছানা ছাড়াটা সবার জন্যই কঠিন একটা কাজ, কিন্তু এর পাশাপাশি যদি কাজে যাওয়ার প্রতিও অনিহা কাজ করে তাহলে ধরেনিতে হবে কোন কারণে আপনার নিজের চাকরি আর ভাল লাগছে না। অফিস যাওয়ার কথা ভাবলেই যদি আপনার ক্লান্ত বোধ হয়, কোন কাজেই উদ্দীপনা খুঁজে পান না, উইকেন্ড শেষ হলেই হতাশা আপনাকে ঘিরে ধরছে।তবে আপনার চাকরী পরিবর্তনের সময় এসেছে।

৬।সফল ব্যক্তিদের সম্পর্কে লেখা পড়লে অনুপ্রেরণার বদলে আপনি ঈর্ষান্বিত বোধ করেন।তাদের সফলতার গল্প শুনে আপনার অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।যদিসফলনারীদের জীবনের কথা শুনে আপনি উল্টা বিষন্ন হয়ে যান, তাহলে আপনার চাকরি আপনাকে পর্যাপ্ত সন্তুষ্টি দিচ্ছেনা।

আর/এস 

Leave a Comment