কীভাবে এলো ইয়াহু!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ১৪, ২০১৮

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। সময়টা ছিল ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাস। জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফিলো নামের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুজন শিক্ষার্থী অনেকটা নিজেদের অজান্তেই তৈরি করেন এই সার্চ ইঞ্জিনটি। অজান্তে বলছি এই কারণে যে, তারা যখন কাজ শুরু করেন তখন তাদের মাথায় “ইয়াহু (Yahoo)”- র কোনো পরিকল্পনা ছিল না। যে কারণে তারা “ইয়াহু (Yahoo)” প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা উঠে এসেছে অন্য একটি কাজের শেষের দিকে গিয়ে।

জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফিলোর এক প্রফেসর ১ বছরের ছুটিতে যান। এর ফলে জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফিলো তাদের সেই প্রফেসরের কম্পিউটার ব্যবহার করার সুযোগ পান এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে করতে নিজের অজান্তেই জেরি আর ডেভিড এমন একটি আইডিয়া পেয়ে যান যা ছিলো সার্চ ব্যবস্থার প্রথম পদক্ষেপ।

জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফিলোর মূলধন বলতে ছিল শুধু তাদের আইডিয়া। তবে শুধুমাত্র আইডিয়া দিয়ে তো আর কোনো কোম্পানী চলতে পারে না এটা আমরা সকলেই জানি। আর এটাও জানি যে, সিলিকন ভ্যালিতে টাকার কোনো অভাব নেই। সিলিকন ভ্যালিতে এমন অনেক ক্যাপিটালিস্ট রয়েছে যাদের দ্বারা নির্ধারিত হয় কোন কোম্পানীটি টিকে থাকবে আর কোনটি থাকবে না। সিলিকন ভ্যালির অনেক ক্যাপিটালিস্টই “ইয়াহু (Yahoo)” ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তবে একজন ক্যাপিটালিস্ট ছিলেন যিনি জানতেন “ইয়াহু (Yahoo)” ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি হলেন মাইকেল মরিজ (Michael Moritz)। মাইকেল মরিজ (Michael Moritz)প্রাথমিকভাবে ইয়াহুর পেছনে ২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন।

মারিসা মায়ার এর যোগদানের পর ব্যবহারকারীর দিক দিয়ে গুগলকে টপকিয়েছে ইয়াহু। সার্চ ইঞ্জিন শিল্পে আধিপত্য বাড়াতে সম্প্রতি নিজেদের সাইটে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মারিসা মায়ার। এর মধ্যে ইয়াহুর লোগো পরিবর্তনও ছিল। এরপর থেকে ইয়াহু বেশ কিছুটা উন্নতির মুখ দেখে। ২০১১ সালের পর ২০১৩ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশিবার ভিজিট হওয়া সাইট হিসেবে গুগলকে পেছনে ফেলে ইয়াহু। আগস্ট মাসেও এ ধারা বজায় রাখে সাইটটি।

এক প্রতিবেদনে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কমস্কোর জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে প্রায় ১৯ কোটি ৭৮ লাখ ব্যক্তি। অন্যদিকে গুগল ব্যবহার করেছে প্রায় ১৯ কোটি ১৪ লাখ ব্যক্তি।

তবে আর্থিক দিক হতে এখনও ইয়াহু গুগলের অনেক পেছনে পড়ে আছে। রিসার্চার ফার্ম ই-মার্কেটারের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে গুগলের এ বছর আয়কৃত মোট বিক্রয়লব্ধ আয়ের পরিমাণ ৩৮.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফেসবুকের আয় ৫.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থানে থাকা ইয়াহুর আয় ৩.৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Leave a Comment