চিকিৎসার খরচ চালাতে নোবেল বিক্রি!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ১৩, ২০১৮

মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী লিয়ন লেডারম্যান। তিনিই সর্বপ্রথম ঈশ্বরকণা সম্পর্কে জানান বিশ্বকে। ১৯৯৩ সালে নিজের বইয়ে হিগস-বোসন কণার বর্ণনা দিয়ে তিনি লিখেছিলেন- ‘গডস পার্টিকল’। ১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান তিনি। গত ৩ অক্টোবর, ৯৬ বছর বয়সে রেক্সবার্গের আইডাহো শহরের একটি হাসপাতালে মারা যান লেডারম্যান। রেখে গিয়েছেন হিগস-বোসন নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা করা মহামূল্যবান তত্ত্ব।

১৯২২-এ নিউ ইয়র্ক শহরে জন্ম হয় লেডারম্যানের। বাবার একটি ধোপাখানা ছিল। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে ছেলে নিউ ইয়র্কের সিটি কলেজে রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা। স্নাতকের পরেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যান। ফিরে এসে ফের ডুব দেন পড়াশোনায়। ’৫১-তে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাব-অ্যাটমিক পার্টিকল নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এরপর দীর্ঘ পথচলা। ১৯৭৮-৮৯, ফার্মিল্যাব-এর ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।

১৯৮৮ সালে ‘মিউয়ন নিউট্রিনো’ নামে একটি সাব-অ্যাটোমিক পার্টিকল আবিষ্কার করার জন্যই পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন লেডারম্যান। পরবর্তীকালে ডিমেনশিয়া ধরা পড়ার পরে নিলামে তোলেন সেই সোনার পদক। ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ডলার দাম উঠেছিল।

৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের সঙ্গী লেডারম্যানের স্ত্রী এলেন কার লেডারম্যান বলেন, ‘উনি মানুষ ভালোবাসতেন। চেষ্টা করতেন তাঁদের শেখাতে, বোঝাতে কেন বিজ্ঞান নিয়ে এত চর্চা হচ্ছে।’

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল টার্নার বলেন, শক্তি কী কিংবা কণাদের নিয়ে তাঁর গবেষণা অনস্বীকার্য। তার থেকেও বড় কথা, সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল লেডারম্যানের বিজ্ঞান-চর্চা।’

২০১৫ সালে নিলামে পদক বিক্রির পরে লেডারম্যান-পত্নী অবশ্য বলেছিলেন,  নোবেল সম্মান উনি ভোগ করেছেন। এবার তার ইচ্ছে, বিজ্ঞানের প্রতি তার ভালোবাসা এবার অন্য কারও কাছে ‘সম্পদ’ হয়ে থাকুক।

আর/এস 

Leave a Comment