গ্রীক ও রোমের সভ্যতা

  • কামরুন নাহার স্মৃতি
  • জুন ১৮, ২০১৯

শহর ও গৃহনির্মাণের পরিকল্পনা গ্রীকদের সময় থেকেই অনেক উন্নত ও বিজ্ঞানসম্মত হতে থাকে। গ্রীকদের তৈরি বিশাল মন্দিরগুলোর ধ্বংসাবশেষ লক্ষ্য করলে তাদের নির্মাণ কৌশলের পরিচয় পাওয়া যায়। তবে মন্দিরগঠনের প্রতি অত্যন্ত মনোযোগ দেওয়ার ফলে অন্য কোনরকম বাড়ি ঘর তৈরিতে মন দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভবপর হয়ে উঠত না। তবে পাহাড়ের ধারে অবস্থিত মুক্তাঙ্গন নাট্যশালার বিভিন্ন উন্নত ধরনের নিদর্শনও গ্রীক সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দেখা গেছে।

রোমানদের আমলে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য মন্দির ও সভাকক্ষগুলিতে দেশের জনসাধারণের এক সঙ্গে মিলিত হওয়ার ব্যবস্থা ছিল ও সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবার সুযোগ সকলকে দেওয়া হত বলে বহু থামবিশিষ্ট হলঘরের পরিবর্তে খিলান বিশিষ্ট বাড়ির চাহিদা ক্রমশ বেড়ে যেতে থাকে।

গম্বুজাকৃতি ছাদের ব্যবহারও সেই সময় থেকেই শুরু হয় এবং রোমানদের আমলেই পাথরের টুকরো গুলিকে জোড়া লাগানোর প্রয়োজনীয়তায় সিমেন্টের প্রচলন হয়। রোমের স্নানাগারগুলি বহুলোকের ব্যবহারের উপযোগী ছিল। এই সুবিশাল স্নানাগারগুলি আসলে তাদের বিশ্রাম ও আনন্দ করবার স্থান ছিল। ইউরোপে রোমান সাম্রাজ্যের শেষভাগে ও পরবর্তীকালে খ্রীস্টধর্মাবলম্বিদের গির্জাসমূহের মধ্যেই সেকালের ইঞ্জিনিয়ারিং গড়ে উঠতে থাকে। খ্রীস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন ও সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের নব নব ধারার প্রচলন হয় বড় বড় মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে৷ মিনার ও গম্বুজের প্রচুর নিদর্শন এই সময়কার শিল্পরীতিতে দেখা যায়। এই মিনার ও গম্বুজের উৎকর্ষ সাধিত হয় ভারতে অবস্থিত আগ্রার মোতি মসজিদ ও পৃথিবীর অন্যতম বিশিষ্ট স্থাপত্য তাজমহলের মধ্য দিয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নমুনা পাওয়া যায় গ্রীক ও রোমান সভ্যতায়।

কেএস/

Leave a Comment