সন্তানের ওজন কম কি না বুঝবেন কিভাবে ?

  • কবিতা আক্তার
  • এপ্রিল ১৬, ২০২৩

বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন ঠিক আছে কিনা সে সম্পর্কে অনেক অভিভাবকেরই ধারণা নেই। যদিও শৈশবকালীন স্থূলতা শিশুর বড় স্বাস্থ্য ও সমস্যার কারণ হতে পারে, তবে কম ওজন ও কিন্তু শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

একজন শিশুর ওজন তখনই কম বলে বিবেচিত হয় যখন তার বডি মাস ইনডেক্স (বিএম‌আই) বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী পঞ্চম শতাংশেরও কম হয়। যদি ও শিশুরা শারীরিকভাবে বিকাশের পর্যায়ে থাকে, তাই অনেক অভিভাবক কি শিশুর ওজন নিয়ে তেমন চিন্তিত হন না

আরো পড়ুনঃ বাড়ন্ত শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে কোন বয়সে কি  খাওয়াবেন?

তবে কেন শিশু আন্ডার ওয়েট হয় কিংবা বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী তার সঠিক বিকাশ ঘটে না

চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-

- অপুষ্টির কারণে বেশিরভাগ শিশুর ওজন কম থাকে। খাদ্যের নিম্নমানের কারণে অপর্যাপ্ত ক্যালোরি, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতার অভাব বা দুর্বল খাদ্য গ্রহণ বা পুষ্টির শোষণ বা পুষ্টির চাহিদা বৃদ্ধির ফলে শিশুর ওজন কম হতে পারে।বিশেষজ্ঞের মতে, একটি অপুষ্ট শিশুকে বেশ পাতলা দেখায়। তার গাল, বাহু ও নিতম্বের চর্বি কম থাকে। সুস্থ শিশুদের তুলনায় অপুষ্ট শিশুদের নিস্তেজ ও কম সক্রিয় দেখাতে পারে। এছাড়া তাদের খাবার খাওয়ার অসুবিধা, দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, বমি, উদরিত পেট, একটি দীর্ঘস্থায়ী কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ নবজাতকের ওজনহীনতায় করণীয়

- আরেকটি কারণ হতে পারে জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হওয়া। প্রিম্যাচিউর বা প্রতিবন্ধী শিশুরা কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন।তবে কোন গুরুতর অসুস্থতা না থাকলে সাধারণত দুই বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের ওজন ও উচ্চতা বাড়ে। তবে কিছু শিশুর বিকাশ ধীরে হতে পারে তার জেনেটিক অবস্থার কারণে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের ওজন কেমন হওয়া উচিত জানুন

- এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, বংশগত কারণেও শিশুর ওজন কম হতে পারে। যেহেতু শিশুর বিকাশ জিনগত ভাবেও নির্ধারিত হয়, তাই পারিবারিক ইতিহাসের কারণেও শিশুর আন্ডার ওয়েট হতে পারে। এমন সম্ভাবনা থাকলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

সন্তানের বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ ও ফলোআপ নিশ্চিত করতে হবে অভিভাবকের। একই সঙ্গে জানতে হবে আপনার শিশু ওজন কম হওয়ার কারণ কি?যদি পুষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত হয়, তাহলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেবেন কিভাবে আপনার সন্তানের খাদ্যের উন্নতি করা যায় ও খাবার সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment