প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ কত দিন স্থায়ী হয়?

  • রেজবুল ইসলাম 
  • এপ্রিল ৮, ২০১৮

একজন মহিলা গর্ভাবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়। সে তার নিজ শরীরের অনেক পরিবরতন দেখতে পায় যে সব পরিবর্তন থামানো যায় না আর কেউ চেষ্টাও করেনা। এই পরিবর্তন গুলো ডেলিভারির পর আবার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। সমস্যা যখন সৃষ্টি হয় তখন অনেক কিছু স্বাভাবিক হয় না এর মধ্যে একটা হচ্ছে রক্ত বন্ধ না হওয়া। অনেকের ব্লাড বন্ধ হতে চায় না ডেলিভারির অনেকদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও। 

ব্লিডিং কেন হয়?

বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর যে ব্লিডিং হয় একে বলে lochia. এটা এক ধরণের স্রাব যা অনেকটা পিরিয়ড এর মতো মনে হয়। ডেলিভারির পর ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত এটা হতে পারে। এই অবস্থার দুইটা ভাগ আছে। 

১. প্রাইমারি – প্রসবের পর থেকে ২৪ ঘণ্টা এর মধ্যে হবে

২. সেকেন্ডারি- ২৪ ঘণ্টা এর পর থেকে ৪২ দিনের/ ৬ সপ্তাহ এর মধ্যে হবে।

প্রামারির কারণ হতে পারেঃ 

১. জোর করে/ সময়ের আগেই ডেলিভারি এর চেষ্টা করানো

২. গর্ভকালীন রক্তপাত

৩. অধিক বাচ্চা ধারণ (৪ টির বেশি বাচ্চা)

৪. অপুষ্টি

৫. ১২ ঘণ্টা এর বেশি লেবার

৬. জরায়ু এর জন্মগত ত্রুটি

৭. ফাইব্রয়েড

৮. অতিরিক্ত ওজন (বিএমআই >৩৫) অধিক বয়সে গর্ভধারণ (৪০ এর বেশি বয়স) পূর্বে পিপিএইচ হয়েছে এমন মা। 

৯. যমজ বাচ্চা

১০. রক্তশূন্যতা

গর্ভফুল এর অংশ জরায়ু তে থেকে যাওয়া সেকেন্ডারির প্রধান কারণ। এছাড়া ইনফেকশন থেকে, সিজারিয়ান ডেলিভেরি এর জটিলতা থেকে এমন হতে পারে।

নরমাল ডেলিভারিতে ব্লিডিং : সাধারণত বাচ্চা জন্মের ৩ দিন পর ব্লাড দেখা যায়। ব্লাড উজ্জ্বল বা গাঢ় লাল হতে পারে। এটাতে মাসিক এর মতো গন্ধ থাকতে পারে। ছোট ছোট জমাট বাধাও হতে পারে। সাত দিনের মধ্যে এই ব্লাড এর কালার চেঞ্জ হয় আর জমাট বাধা রক্ত আসাও বন্ধ হয়ে যায়। 

সিজারের পর ব্লিডিং : সিজারিয়ান ডেলিভারির ক্ষেত্রে রক্তের পরিমাণ কম হওয়ার কথা। কয়েক সপ্তাহ অল্প অল্প করে ব্লাড আসতে পারে। রক্তের কালার লাল থেকে বাদামি আকার ধারণ করতে পারে। 

খুব বেশি রক্ত গেলে কী করবেন? 

যদি অবস্থা খুব বেশি ভয়াবহ হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের বা কোন হাসপাতালে যেতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত বড় প্যড ব্যবহার করতে হবে।


 

Leave a Comment