বাচ্চাদের এলার্জি নিয়ে কিছু জানা অজানা কথা 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ২৮, ২০১৭

বেশির ভাগ বাচ্চাদের মধ্যে সাধারণ একটি সমস্যা হল এলার্জি। সাধারণত শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।  বিশেষ করে বাচ্চা যদি প্রায় রোগে ভুগতে থাকে, তাহলে তার মধ্যে রোগজীবাণুর প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়।

বাচ্চাদের মধ্যে সাধারণত দু’ধরনের এলার্জি দেখা যায় । একটি জেনেটিক বা বংশগত। অন্যটি ঋতুগত , যা সাধারণত পরিবেশ ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে দেখা দেয়। 

আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে বাচ্চাদের মধ্যে দেখা দেয় নানা সমস্যা। নানারকমের এলার্জি বাচ্চাদের খুব ভোগায়। এলার্জির কারণে সর্দি, কাশির মতো নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। 

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এলার্জির সঙ্গে বাচ্চাদের খাদ্যাভ্যাসেরও যোগ রয়েছে। এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলি খেলে বাচ্চাদের এলার্জি হয়। বাচ্চার ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানোর উপদেশ দেন ডাক্তাররা। কিন্তু যদি তার বদলে প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ালে বাচ্চাদের মধ্যে এলার্জি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই শুরুর দিকে বাচ্চাকে কী খাওয়াবেন, কী খাওয়াবেন না, সেদিকে নজর রাখা দরকার। প্রয়োজনে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। 

আপনার সন্তান যদি এমন ঋতুগত এলার্জিতে ভুগতে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনাকে অনেকবেশি সচেতন থাকতে হবে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় তাই বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখুন। কোনওরকম অসুবিধা বুঝলেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। 

বাচ্চাদের ত্বক খুব নমনীয় হয়। বাইরে পলিউশন ও ধুলোবালির সংস্পর্শে এলে অনেকসময় বাচ্চাদের মধ্যে এলার্জি সংক্রমণ ঘটে। ত্বকের উপর জ্বালা, যন্ত্রণা ও ফুসকুড়ি দেখা দেয়। তাই বাচ্চাদের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় যতটা সম্ভব ধুলোবালি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে হাত-পা পরিষ্কার করে দিন। 

অনেক বাচ্চারা আছে হাত না ধুয়ে খেতে শুরু করে। যা পায় মুখে পুড়ে নেয়। বাচ্চা এমন দুরন্ত হলে, সতর্ক থাকুন। নয়তো এলার্জির পাশাপাশি নানা রোগ,জ্বালা দেখা দিতে পারে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment