আপনার বাচ্চা কি বেশি ঘুমায়?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • নভেম্বর ২২, ২০১৮

আপনার শিশুকে প্রতিদিন ১১-১৭ ঘন্টা ঘুমাতে দিতে হবে যাতে তার পর্যাপ্ত ঘুম হয়। কারণ, ঘুম আপনার শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি, এবং মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এটা শিশুদের ভাল শিখতে সাহায্য করে এবং তাদের মেজাজ প্রভাবিত করতে পারে।

শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ঘটায়ঃ ঘুমের মধ্যেই মানুষের শারিরীক বৃদ্ধি ঘটে। গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ঘুম শিশুর বেড়ে ওঠা এবং ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য রক্ষা করে থাকে।

স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা সৃষ্টিতে সাহায্য করেঃ আপনার শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশের জন্য ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় আপনার শিশুর স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। স্নায়ুতন্ত্র শিশুর শরীরের অত্যন্ত জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ উদ্দীপনায় সাড়া দেয়ার জন্য কাজ করে। স্নায়ুতন্ত্র আমাদের শরীরের অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলো যেমন- শ্বাস নেয়া, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, হৃদস্পন্দন, চলাফেরা এবং আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্কের গঠন এবং সংবেদনশীল অঙ্গগুলির মধ্যে সংযোগও তৈরি করে।

ঘুমের মধ্যেও শিশু শেখেঃ আপনি কি জানেন যে, বাচ্চারা ঘুমানোর সময়ও শিখতে পারে? একটি গবেষণায়, ঘুমন্ত বাচ্চাদের কানের কাছে বিভিন্ন শব্দ বাজানো হয় এবং এই রেকর্ডিং শোনার পর বাচ্চাদের মস্তিষ্ক নির্দেশ করে যে তারা অদ্ভুত শব্দে অবাক হয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অর্থাৎ, তারা পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য প্রক্রিয়া করে এবং ঘুমন্ত অবস্থায় স্নায়ুবিক পথ তৈরি করে নতুন কিছু শিখতে তা ব্যবহার করে। যে শিশুরা যথেষ্ট ঘুমায়না তারা একটু বেশিই কাঁদে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, অল্পবয়সী শিশু যারা কম ঘুমায় পরবর্তীতে তাদের মেজাজ খুব খিটখিটে হয়ে যায়। বয়সের উপর ভিত্তি করে সারা দিনে ১১-১৭ ঘন্টা ঘুম আপনার শিশুর প্রয়োজন হতে পারে।

কখন ডাক্তারের শরনাপন্ন হবেন?

ঘুম শিশুর বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যদি লক্ষ্য করেন যে আপনার শিশুটি কম ঘুমাচ্ছে বা অতিরিক্ত ঘুমাচ্ছে এবং ওজন বাড়ছে না, তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন। কারণ, জন্ডিস বা সংক্রমণের মতো কিছু রোগ অতিরিক্ত ঘুমের কারণ হতে পারে।

Leave a Comment