
বাচ্চাকে বুকের দুধ ছাড়ানো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- জানুয়ারি ২২, ২০১৯
* দুধ ছাড়ানোর প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে শুরু করুন। এতে আপনার শরীর যেমন বাচ্চার দুধের চাহিদা কমার সংকেত পাবে, তেমনি বাচ্চা দুধের চাইতে বাইরের খাবারে আগ্রহ জন্মানো শুরু করবে।
* বাচ্চাকে নিজের হাতে খেতে দিন, খাবারে আগ্রহী করে তুলুন। এভাবে আস্তে আস্তে দুধ খাওয়ানোর পরিমান কমিয়ে দিন। আগে যদি ৬ বার খাওয়াতেন, এখন ২ বার খাওয়ান।
* যদি কোন কারনে এক বছরের আগে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করতে চান, তাহলে দুধের বদলে ফর্মুলা দিতে পারেন। আবার বাচ্চার বয়স এক বছর হয়ে গেলে, গরুর দুধ দেয়া শুরু করতে পারেন।
* নিজের যত্ন নিন। দুধ খাওয়ানো যখন ধীরে ধীরে কমিয়ে দেবেন, দুধ জমে গিয়ে স্তন ভারী বোধ হতে পারে। সেক্ষেত্রে দুধের জমে যাওয়া এড়াতে ঠান্ডা সেঁক নিতে পারেন।
* লিকেজ এড়াতে নার্সিং প্যাড ব্যবহার করুন। এতে দুধ বের হয়ে কাপড় নষ্ট হওয়া এড়াতে পারবেন। যারা দুধ পাম্প করে বাচ্চাকে খাওয়ান, আস্তে আস্তে পাম্পিং এর পরিমান এবং সময় কমিয়ে আনুন।
* অনেক কাল আগে থেকে বাঁধাকপির পাতা ব্যবহার করে আসছেন মায়েরা দুধ ছাড়ানোর সময় স্তনের অস্বস্তি দূর করতে। এটি এক ধরনের এনজাইম নিঃসরন করে, যা দুধ তাড়াতাড়ি শুকাতে সাহায্য করে।
* স্তনে ম্যাসাজ করুন, এটি জমে যাওয়া দুধ বের করে দিতে সাহায্য করবে। দুধ জমে দুগ্ধনালী (Milk duct) বন্ধ হয়ে খুব বেশী ব্যাথা হলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হোন।
* বাচ্চার চাহিদার দিকে খেয়াল রাখুন। বাচ্চাকে বেশী বেশী সময় দিন, আদর করুন। বাচ্চার মনোযোগ অন্য দিকে সরাতে তার সাথে বেশী করে খেলুন। যেসব জায়গায় বসে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতেন, সেগুলো থেকে কিছুদিন দূরে থাকুন। বাবা-মা দুইজনই বাচ্চাকে পালা করে সময় দিন। বাচ্চার প্রতি ধৈর্য্যশীল হোন। এটি তার জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা। তাকে অভ্যস্থ হতে সময় দিন।