শুধু রাতে জ্বর আসা যেসব ভয়াবহ রোগের লক্ষণ বহন করে

  • কবিতা আক্তার
  • জুলাই ৭, ২০২১

সারাদিন ভালো অনুভব করলেও রাতে জ্বরের ফলে শরীর ক্লান্তি অনুভব করে, ঘুম কম হয়। রাতে জ্বর এর ফলে খিদের অভাব, ডিহাইড্রেশন, ডিপ্রেশন, হাইপার আলগেসিয়া বা অতি অল্পেই অতিরিক্ত যন্ত্রণাবোধ, এলার্জি, ঘুম ঘুম ভাব থেকে যায়। এ জ্বর বৃদ্ধি পেলে প্রলাপ বকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ জ্বরের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেগুলো অবশ্যই জানা উচিত এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-

সকালে জ্বর না থাকার কারণ: সারারাত জ্বর থাকে অথচ সকালে চলে যায়। কেন এমনটা হয়? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিরোধক কোষগুলো দিনের বেলায় কাজ করতে সক্ষম। এ কারণে দিনে জ্বর বা সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। বিপরীতে রাতের রোগ প্রতিরোধ কোষগুলো তুলনামূলক কম সক্রিয় থাকায় শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস করার আশায় দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। এতে জ্বর হয়।

আরো পড়ুনঃ কাঁকরোল ভর্তা

বাহ্যিক পাইরোগেনস: পাইরোগেনগুলো হচ্ছে জ্বরজনিত উপাদান, যা এন্ডোটক্সিন এর মত জীবাণু থেকে প্রাপ্ত। বাইরে থেকে শরীরে এই পাইরোগেনগুলো প্রবেশ করে এবং রাতে আপনাকে জ্বরে আক্রান্ত করে।

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: রাতে জ্বরের জন্য ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ও দায়ী। ব্যাকটেরিয়ার জন্য এন্ডোকার্ডাইটিস, যক্ষার মত অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে রাতে জ্বর হয়ে থাকে।

স্ট্রেস: অতিরিক্ত স্ট্রেস ও ক্লান্তি থেকেও রাতে জ্বর এসে থাকে। তাই নিজেকে সব সময় রিলাক্স রাখুন এবং শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করুন। এমন ভাবে কাজ করবেন যাতে কখনো নিজের কাছে চাপ মনে না হয়।

এলার্জি: এলার্জি থেকেও রাতে জ্বর হয়ে থাকে অনেকের। এছাড়া কিছু ঔষধ থেকেও এ অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়ে থাকে। এরকম সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ কাঁচকলা ও ইলিশ মাছের ভর্তা

ত্বকের সংক্রমণ: ত্বকের সংক্রমণ থেকেও রাতে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোন ব্যক্তির দীর্ঘদিন যাবৎ ত্বকের সংক্রমনের সমস্যা থাকলে ঐ ব্যক্তির রাতে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment