চুলের যত্নে শীতকালীন ৮ মাস্ক
- কবিতা আক্তার
- ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
শীতে চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শীতের সময় খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। কারণ মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এই শুষ্কতা রোধ করতে ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।
চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতের এই সময়টাতে যে মাস্ক ব্যবহার করবেন চুলের যত্নে-
- একটি ডিম ফেটিয়ে আধা কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। কয়েক ফোটা লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি চুলে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। ডিমে থাকা প্রোটিন চুলের ফলিকলে পুষ্টি যোগায় ও চুল ময়শ্চেরাইজ করে প্রাকৃতিকভাবে।
- পাকা কলা চটকে মধু ও যেকোনো তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলে লাগলে অপেক্ষা করুন কিছুক্ষণ। এরপর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের উপরে হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করবে এই মাস্ক।
আরো পড়ুনঃ বর্ষাকালে মাথার ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে
- আধা কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। চুলের পাতলা হয়ে যাওয়া আটকাবে এই প্যাক।
- আধা কাপ ওটস এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল ও আধা কাপ দুধ মেশান। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই মাস্কটি চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট।। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুনঃ পাকা চুল হবে কালো! জবা ফুলের সাহায্য নিন।
- ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। চুল ধুয়ে মুছে নিন। এই প্যাকে রয়েছে ভিটামিন ই যা মাথার ত্বক মশ্চারাইজড করে। পাশাপাশি দূর করে খুশকি।
- ২ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু মেশান। এই প্যাক চুল শক্তিশালী ও ঝলমলে করবে।
আরো পড়ুনঃ গরমে চুল সুন্দর রাখতে যা যা করবেন
- একটি ডিম ফেটিয়ে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভেজা চুলে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি চুল হবে ঘন ও ঝলমলে।
- মিষ্টি কুমড়া সেদ্ধ করে চটকে নিন। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। ধীরে ধীরে মেসেজ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মিষ্টি কুমড়ায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের জন্য উপকারী।