যশোর জেলা 

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ 
  • জুলাই ৪, ২০২০

যশোর জেলা  বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন অঞ্চল। যশোরের অন্য একটি প্রচলিত বানান আছে "যশোহর।"  এ জেলাটির ৮টি উপজেলা রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি পুলিশ থানা রয়েছে এবং একটি পোর্ট থানা রয়েছে। যশোর জেলার আয়তন মোট ২,৬০৬.৯৪ বর্গকিমি।

জেলাটির জনসংখ্যা মোট ২৭,৬৪,৫৪৭ এবং জনঘনত্ব ১,১০০/বর্গকিমি, সাক্ষরতার হার মোট ৯৫%।(পরিসংখ্যান-২০১১)১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে সময় হতেই যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠান আছে এ জেলায়। যশোরে নির্মিত হচ্ছে "শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক" যশোর জেলার উত্তরে ঝিনাইদহ জেলা ও মাগুরা জেলা, দক্ষিণ পূর্বে সাতক্ষীরা জেলা, দক্ষিণে খুলনা জেলা, পশ্চিমে ভারত এবং পূর্বে নড়াইল জেলা।

যশোরের সাথে অন্যান্য কাছের জেলাগুলির শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। যশোর জেলায় পশ্চিম ও পূর্ব বাংলায় পরিবহনের জন্য এখানে সংযোজক আন্তর্জাতিক মহাসড়ক আছে। যশোরে নগরীর কাছাকাছি যশোর বিমানবন্দরটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানঘাঁটি। এটি দেশের একমাত্র বিমানবন্দর যেখানে বিমান বাহিনীর সকল বৈমানিকদের বিমান উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এটির রানওয়ে দিয়ে সামরিক বিমানসহ অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল করে। যশোরের অর্থনীতিকে বেগবান করেছে মাছ চাষ। যশোরের অর্থনীতির অধিকাংশই আসে মাছ চাষ তথা চিংড়ি রফতানি করে। দেশের বাহিরে প্রচুর চিংড়ি রপ্তানী হয় যা এই যশোর জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়। নির্দিষ্ট জেলা অর্থনীতি ছাড়াও যশোরের এই চিংড়ি রপ্তানী সারা দেশের অর্থনীতিতেই ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করে। তাছাড়াও যশোর জেলা পর্যটকদের খুবই পছন্দের স্থান। গ্রাম্য জীবনযাপন আর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য উপযুক্ত জায়গা বলা যায় যশোর জেলাকে।

তথ্যঃ গুগল
লিখাঃ সাজিদ

Leave a Comment